ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে অর্থমন্ত্রী প্রাইভেট সেক্টরের প্রবৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার দিন

বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক:
দেশের প্রাইভেট সেক্টরের প্রবৃদ্ধির দিকে অগ্রাধিকার দিন । বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতে এখন প্রাইভেট সেক্টরের প্রবৃদ্ধি কমেছে। এ খাতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ৯ দশমিক ৩ শতাংশ । কিন্তু সরকারের টার্গেট ছিল ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির। সেটা হচ্ছে না। এ বিষয়টা অগ্রাধিকার দিতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) "ব্রাঞ্চ ম্যানেজারদের বার্ষিক কার্যক্রম প্রণয়ন সম্মেলন-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব ও ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বিশেষ অতিথি হিসেবে সভায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও কাজী আলমগীরসহ পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন অর্থনীতির একটা খারাপ সময় চলছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারাবিশ্বেই এটি চলছে। কোনো দেশেই আমদানি-রফতানি সঠিকভাবে হচ্ছে না। আমদানি রফতানি কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কিছু সেক্টরে এর প্রভাব পড়েছে। তবে আমি আশা করি বছর শেষে এই সেক্টরগুলোর আর পিছিয়ে থাকবে না। আমদানি-রফতানির অবস্থা ভালো হয়ে যাবে।
ব্যাংক খাতের অবস্থাও খুব ভালো নয় ইঙ্গিত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলো যদি ভালো চলতো, তবে ব্যাংকগুলোকে মার্জ করতে হতো না। ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। এ কারণে সংসদে আমাকে গালি শুনতে হচ্ছে। আপনারা বলেন, এটা কি আমার জন্য হয়েছে?
বিডিবিএলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মধ্যে সবাই খারাপ রয়েছেন তা বলবো না। কিছু সংখ্যক লোক রয়েছে যারা খারাপ। বাংলাদেশ ব্যাংক, কিংবা অর্থ মন্ত্রণালয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আগে, নিজেরা নিজেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। শাস্তি দিন।
আ হ মুস্তফা কামাল বলেন, ১৯৯৭ সালে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির অবস্থা খারাপ ছিল। এরপর ২০০৯ সালে দ্বিতীয় দফায় খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দূরদৃষ্টিতার কারণে এখন অবস্থান থেকে উত্তোলন হয়েছে। দেশের অর্থনীতির ভিত গড়ে উঠেছে। আর এ কারণেই গত ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি সারাবিশ্বে রোল মডেল হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ক্লাসিফাইড লোন (খেলাপি ঋণ) আপনারা কমিয়ে এনেছেন। ৫০ শতাংশ থেকে সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের রিপোর্ট অনুসারে ৩৮ শতাংশে এসেছে। এটা আরও কমাতে হবে। পাশাপাশি প্রযুক্তির ঝুঁকির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। মূলধন সংরক্ষণ হার ও আমানত বাড়াতে হবে।
উল্লেখ, বিডিবিএল একটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক যা প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছরই মুনাফা করে আসছে। বর্তমানে দেশব্যাপী অনলাইন ভিত্তিক সবধরনের ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী এ ব্যাংকটির কোন মূলধন ও প্রভিশন ঘাটতি নাই।