শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মরিয়ম টাওয়ার গুলশান লেকের জন্য একটি বিষফোঁড়া: ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন


Published: 2017-04-24 06:28:48 BdST, Updated: 2024-04-20 15:36:54 BdST

বিওয়াচ প্রতিবেদক: মরিয়ম টাওয়ার গুলশান লেক ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে। এটি গুলশান লেকের জন্য একটি বিষফোঁড়া বলে মন্তব্য করলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।  রোববার রাজউকের উচ্ছেদ অভিযানকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি সরকারের ১৯৯১-১৯৯৬ মেয়াদে এ প্লটটি বরাদ্দ দেয় হয়। প্লট বরাদ্দ দেয়া হয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই। তারপরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে টাওয়ারটি নির্মাণকালে অতিরিক্ত কোনো জমি তারা দখর করেছে কি না। যদি অতিরিক্ত জমি দখল করে থাকে সেটুকু ভেঙ্গে দেয়া হবে।  তিনি বলেন, গুলশানে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার সময় অনেক জলাশয় ছিল। এ এলাকার জলাধার ও পরিবেশ সুরক্ষায় সে সময়ে পরিকল্পনা প্রণয়নকালে লেক নির্মাণ করা হয়। বিভিন্ন সময়ের সরকার গুলশান লেক ভরাট করে নিজ দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে প্লট বরাদ্দ দেয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে এ লেক পুনরুদ্ধারের উদ্যোগ গ্রহণ করে।  উত্তরের মেয়র আনিসুল হক বলেন, গুলশান লেকের শাহজাদপুর থেকে মরিয়ম টাওয়ার পর্যন্ত অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ অভিযানের মাধ্যমে ৭শ’ ফুট দীর্ঘ এবং ৫০ ফুট প্রশস্ত জমি উদ্ধার করা হয়। এখানে লেকের পাড় ঘেঁষে পায়ে হাঁটার পথ তৈরি করা হবে। আগামি তিন মাসের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে।  তিনি বলেন, যে জমি উদ্ধার করা হলো সেখানকার বাসিন্দারা যাতে ক্ষতগ্রিস্ত না হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখানে বসবাসকারীদের সঙ্গে একটি সমঝোতাও হয়েছে। সমঝোতার ভিত্তিতেই তারা এ স্থান ছেড়ে দিচ্ছেন এবং আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করেছেন।  এসময় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমত উল্লাহ, রাজউকের চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরীসহ ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।