শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাপান ছয় প্রকল্পে ১.৫৯ বিলিয়ন ডলার দিচ্ছে


Published: 2017-07-09 11:39:44 BdST, Updated: 2024-04-19 16:02:04 BdST


 বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক: আটকে থাকা মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ছয় অবকাঠামো প্রকল্পে বাংলাদেশকে প্রায় তের হাজার কোটি টাকা টাকা ঋণ দিচ্ছে জাপান। ছয় প্রকল্পে জাপান দিচ্ছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা- জাইকা জানিয়েছে, গত ২৯ জুন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে তাদের ১৭৮ দশমিক ২২৩ বিলিয়ন ইয়েন ঋণের (১ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার) এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। স্বল্প সুদের এই ঋণ শোধ করতে বাংলাদেশ সময় পাবে ৩০ বছর। রেয়াতকাল ধরা হয়েছে ১০ বছর; অর্থাৎ চুক্তির প্রথম দশ বছর পর থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে।
জাইকার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “সস্তা শ্রম ও প্রচুর জনশক্তির কারণে বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির মত জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোও বাংলাদেশের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে বড় বাজার বাংলাদেশকে আগামি দিনের একটি সম্ভবনাময় শিল্প কেন্দ্র ও বিনিয়োগ গন্তব্যে পরিণত করেছে।”
অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজ থেকে দারিদ্র্য দূর করার পথের ‘বাধা অপসারণে’ জাইকা বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। ছয় প্রকল্প হলো, ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (১): ছয় কোটি ৮৩ লাখ ডলার, কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ ও বর্তমান সেতু সংস্কার প্রকল্প (২): চার কোটি ৬৯ লাখ ডলার, ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প (লাইন ওয়ান): চার কোটি ৯৮ মিলিয়ন ডলার, মহেশখালীর মাতারবাড়িতে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (৩): ৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার, ঢাকায় ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ: ১ কোটি ৮২ লাখ ডলার, ছোট আকারে পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প: ১০ কোটি ৫৫ লাখ ডলার,

 উল্লেখ্য, গতবছর জুন মাসে জাইকা মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি ফেইজে ৩৩ কোটি ৬৬ লাখ ডলার দেওয়ার চুক্তি করলেও ১ জুলাই গুলশানে জঙ্গি হামলার পর দরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়। হলি আর্টিজান বেকারিতে ওই হামলায় নিহতদের মধ্যে সাতজনই ছিলেন জাপানি নাগরিক, যারা জাইকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জরিপ কাজে ঢাকায় এসেছিলেন। দরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিতের বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কাশেম সে সময় বলেছিলেন, দরপত্র স্থগিত হয়নি, সময় বাড়ানো হয়েছে কেবল।
আর বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সে সময় বলেছিলেন, “ওরা (দরপত্রে যারা অংশগ্রহণ করবেন) মনে করছে যে, এই মুহূর্তে টেন্ডার না করাটা বেটার।” জাইকার এবারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাতারবাড়ি প্রকল্পের প্রাথমিক ক্রয়ের জন্য চলতি জুলাই মাসেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু শুরু হবে।
মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০১৪ সালে ৩৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। সে সময় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, এই প্রকল্পে ২৯ হাজার কোটি টাকা দেবে জাইকা।
১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ ২০২৩ সালের অক্টোবরে শেষ হবে আশা করছে সরকার।

 

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।