মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন ৩ বিনিয়োগ পণ্য এনেছে ইসলামিক ফাইন্যান্স 


Published: 2019-05-05 20:44:32 BdST, Updated: 2024-04-23 18:22:26 BdST

বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক:

এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ইসলমিক ফাইন্যান্স নতুন তিনটি বিনিয়োগ পণ্য চালু করেছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ। এছাড়া চলতি অর্থবছরেই সিলেট, যশোর এবং রাজধানীর গুলশানে কোম্পানিটির নতুন শাখা খোলা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। রোববার (৫ মে) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে কোম্পানির ১৮তম বর্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ কথা জানান তিনি। মোহাম্মদ সালেহ বলেন, কোম্পানির উন্নতির জন্য আন্তর্জাতিক রেটিং বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। যার মাধ্যমে বৈদেশিক ফান্ড পেতে কোম্পানির সুবিধা হবে। এছাড়া কোম্পানির প্রচারে মার্কেটিংয়ে বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, যথাযথ মান নিশ্চিত করার জন্য কোম্পানির কর্মকর্তা কর্মচারীদের সঠিক প্রশিক্ষণের ব্যপারে ইসলামিক ফাইন্যান্স সবসময় খেয়াল রাখে। এ কারনেই কোম্পানি আজ এতদূর পৌছাতে পেরেছে। এছাড়া কোম্পানিকে আরও বড় করার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরও শাখা খোলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যার মাধ্যমে কোম্পানি আরও ব্যবসা সফল হবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

ইসলামিক ফাইন্যান্সের ডিভিডেন্টের ধারাবাহিকতা অন্য ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোর চেয়ে সুন্দর রয়েছে জানিয়ে সভায় উপস্থিত শেয়ারহোল্ডাররা বলেন, আমারা এই কোম্পানির লভ্যাংশে খুশি। কারন তালিকাভুক্ত ব্যাংকসহ অনেক ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি ১০ শতাংশের নিচে অথবা নো ডিভিডেন্ট দেয়। সে হিসাবে এই প্রতিকূল অবস্থার মাঝেও ইসলামিক ফাইন্যান্স মোট ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। তবে শেয়ারহোল্ডাররা বোনাস লভ্যাংশের পরিবর্তে ক্যাশে বেশি প্রাধান্য দেওয়ার জন্য কোম্পানিকে অনুরোধ জানান।

শেয়ারহোল্ডাররা বলেন, এই কোম্পানির বাজারে এত ভাল অবস্থানের কারন হচ্ছে পরিচালনা পর্ষদের সততা। ম্যানেজমেন্ট টিমের প্রশংসা করে তারা বলেন, ইসলামিক ফাইন্যান্স একটি বিনিয়োগ বান্ধব কোম্পানি। এরকম কোম্পানি আরও বেশি থাকলে শেয়ারবাজারের অবস্থা সবসময় ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। কোম্পানির অবস্থান আরও শক্ত করার জন্য ব্যবসা বাড়ানোর জন্য পরিচালনা পর্ষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন শেয়ারহোল্ডাররা। ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ ব্যপারে গুরুত্ব বাড়ানোর তাগাদা দেন তারা।

কোম্পানির সফলতা এবং অগ্রগতির জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইসলামিক ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান শিব্বির মাহমুদ বলেন, সেই শুরু থেকে আপনাদের সহযোগিতা আমরা পেয়ে আসছি। এজন্য আমরা অভিভূত। আশাকরি ভবিষ্যতেও আপনাদের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এজিএমে পর্ষদের ঘোষিত ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারের সম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়। ঘোষিত লভ্যাংশের ১০ শতাংশ নগদ ও ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বোনাস। এছাড়া এজিএমে আরো ৫টি আলোচ্যসূচি (এজেন্ডা) অনুমোদিত হয়। ৩০ জুন ২০১৮, সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ১ টাকা ৮২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ১৪ টাকা ৬৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৬ টাকা ৫৪ পয়সা। এজিএমে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল হায়দার ও আনিস উদ্দিন আহমেদ, পরিচালন পর্ষদের পরিচালক লিয়াকত হোসাইন মাহমুদ ও এস এম বক্তিয়ার আলম, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান এবং কোম্পানির সেক্রেটারি এসকে বজলুর রশিদ।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।