পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকারি নীতি সহায়তাসহ ব্র্যান্ডিং জরুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক : উচ্চ ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদানসহ দেশের অর্থনীতিতে শতভাগ মূল্য সংযোজন হলেও প্রধান দশটি খাতের মধ্যে পর্যটন খাত নেই। সে কারণে হতাশা প্রকাশ করেছেন পর্যটন খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। ব্যাপক সম্ভাবনাময় এ খাতের বিকাশে নীতি সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্র্যান্ডিংয়ে সরকারের সহায়তা চান তারা। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট অ্যান্ড গেস্ট হাউজ ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় সভায় ব্যবসায়ীরা এসব কথা বলেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন হয়েছে। তবে আশেপাশের দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোসহ সরকারি নীতি সহায়তা বাড়ালে পর্যটন খাত দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানে থাকবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।

এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের অনেক প্রসার হয়েছে। বর্তমানে দেশে উন্নত দেশগুলোর মতো আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার হচ্ছে। জটিলতা থেকে আমরা ধীরে ধীরে বের হচ্ছি। তবে এ খাতের প্রসারে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের আরও বেশি উন্নয়নসহ আমদানিতে নজর দিতে হবে। উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত হওয়ার পথে পর্যটন খাতে কমপ্লায়ান্স নিশ্চিতকরণসহ সুবিধাদি বাড়ানোর ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া সেভেন সিস্টার্স অঞ্চলের পর্যটকদের সঙ্গে বাংলাদেশের পর্যটন ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ সহজ করা গেলে জাতীয় অর্থনীতি আরও বেশি লাভবান হবে বলে মনে করেন আমিন হেলালী। এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি ও কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. আমিনুল হক শামীম জানান, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১১০ কোটি মানুষ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন। বাংলাদেশি পর্যটকরা অনেক বেশি অর্থ খরচ করে বিদেশে ভ্রমণ করলেও বিদেশি পর্যটকরা তুলনামূলক এদেশে অনেক কম ভ্রমণ করেন। পর্যটন খাতের প্রসারে সংশ্লিষ্ট পরিবহন, জাহাজ ইত্যাদি আমদানি করতে ভ্যাট-ট্যাক্সমুক্ত করতে আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের ব্র্যান্ডিংয়ে দূতাবাসগুলোতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট বই রাখা যেতে পারে বলেও পরামর্শ দেন তিনি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও টুরিজ্যম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এমজিআর নাসির মজুমদার, হাফেজ হারুন, আবু হোসেন ভুঁইয়া (রানু), আক্কাস মাহমুদ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, কমিটির কো-চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন, এইচএম আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, ইরফান আহমেদ ও জালাল উদ্দিন টিপুসহ অন্যান্যরা। সভায় লাইসেন্স বা ছাড়পত্র সহজীকরণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও বেশি উন্নয়ন, দেশের সব পর্যটনকে লাইসেন্সের আওতায় আনা ও ট্যুরিস্ট গাইডদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে সরকারি তহবিল করার দাবি জানান বক্তারা।