বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষ জনশক্তি  তৈরি করতে  না পারায় বাংলাদেশ থেকে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে বিদেশীরা


Published: 2019-05-04 20:28:42 BdST, Updated: 2024-04-18 12:30:01 BdST

 

বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক:

প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি  তৈরি করতে না পারায় বাংলাদেশ থেকে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি নিয়ে যাচ্ছে বিদেশীরা। বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মধ্য এবং শীর্ষ পর্যায়ে কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য বিদেশী জনশক্তি নিয়ে আসতে হচ্ছে। এ জন্য বছরে আমাদের ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। দেশীয় পর্যায়ে এই প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি আমরা তৈরি করতে পারছি না বলেই এই ব্যয় করতে হচ্ছে। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে শীর্ষ পর্যায়ে দেশীয় কর্মকর্তারা উঠে আসছেন, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। শনিবার ডিসিসিআই বিজনেস ইন্সটিটিউটের (ডিবিআই) আয়োজনে লিডারশিপ অ্যাট দ্য টপ অব কর্পোরেট হাউজেস শিরোনামে একটি বিশেষ লেকচার সিরিজ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা চেম্বারের উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি  ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী। ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে এ লেকচার অনুষ্ঠিত হয়। শনিবারের এই আয়োজনে অতিথি বক্তা ছিলেন রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ ।

 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে  ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ঢাকা চেম্বার দেশের বেসরকারি খাতের অগ্রগামী কণ্ঠস্বরই নয়, উন্নয়নেরও সহযাত্রী। বেসরকারি খাতের উন্নয়ন এবং দক্ষতা সৃষ্টির প্রয়োজনে ডিসিসিআই বিজনেস ইনস্টিটিউট (ডিবিআই) অভিনব চিন্তাধারা এবং পদক্ষেপ রাখার জন্য চেষ্টা করে চলেছে। ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দকে নতুন অবস্থানে এনে দেওয়ার জন্যই এই লেকচার সিরিজের উদ্যোগ।

 চতুর্থ শিল্প বিপ্লব-সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মধ্য এবং শীর্ষ পর্যায়ে কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য বিদেশী জনশক্তি নিয়ে আসতে হচ্ছে আমাদের। এ জন্য বছরে আমাদের ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। দেশীয় পর্যায়ে এই প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তি আমরা তৈরি করতে পারছি না বলেই এই ব্যয় হচ্ছে। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে শীর্ষ পর্যায়ে দেশীয় কর্মকর্তারা উঠে আসছেন, তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই নগণ্য। ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী এই পরিস্থিতিকে বদলে দেওয়ার জন্য যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে জোর দেন। তিনি বলেন, আমাদের চাকরি বাজারে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে তরুণদের কর্মসংস্থানহীনতা এবং এই সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি শীর্ষ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের জন্যও যথাযথ দক্ষতা সৃষ্টির মাধ্যমে স্বনির্ভর হয়ে ওঠা ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব তথা পরবর্তী পর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বৈশ্বিক কর্মবাজারের জন্য দক্ষতা সৃষ্টির বিষয়ে তিনি সার্বিকভাবে প্রস্তুতির বিষয়ে জোরারোপ করেন। বিশেষ বিশেষ খাতে নেতৃত্বপ্রদানের জন্য নির্দিষ্ট দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে এই লেকচার সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও  মাহতাব উদ্দিন আহমেদ তরুনদের জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য নেতৃত্ব প্রদানের গুণাবলী অর্জনের উপর আহ্বান জানিয়ে বলেন, তরুণদের অবশ্যই গতানুগতিক চিন্তাধারার বাইরে এসে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা মোকাবেলার জন্য মানসিক ভাবধারা তৈরি করতে হবে।পরিবর্তনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। তথ্য-প্রযুক্তির নতুন নতুন উদ্ভাবনকে ব্যবহারের জ্ঞান আহরণ করার পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে দক্ষতা উন্নয়ন একান্ত আবশ্যক। যেকোন পরিবর্তনই সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে, আমাদের অবশ্যই সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।

 

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডিসিসিআই সহ-সভাপতি  ইমরান আহমেদ। তিনি বলেন, ভবিষ্যতের নেতৃবৃন্দের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং বিভিন্ন পরামর্শ এই লেকচার সিরিজে গুরুত্ব পেয়েছে। তরুণ পর্যায়ের ব্যবস্থাপক এবং শিক্ষার্থীরা এর মাধ্যমে ভবিষ্যত ক্যারিয়ার নিয়ে যথাযথ ধারণা এবং প্রস্তুতি নিতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ রাখেন।           

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।