শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খাদ্যে নিরাপত্তা বিধান করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী


Published: 2017-03-17 06:11:43 BdST, Updated: 2024-04-19 07:22:47 BdST

বিওয়াচ প্রতিবেদক: উৎপাদন থেকে শুরু থেকে খাবারের টেবিল পর্যন্ত খাদ্যের নিরাপত্তা বিধান করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম। তিনি আরো জানিয়েছেন, এ লক্ষে খাদ্য নিরাপত্তা আইন প্রণয়ণের কাজ শুরু হয়ে গেছে।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ‘অর্গানিক ফুড : নিউ এরা অব এগ্রি-বিজনেস’ শীর্ষক এক সেমিনারে মন্ত্রী এসব তথ্য জানিয়েছেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘উৎপাদনে জৈব সারের পরিবর্তে কেমিক্যাল সার ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, উৎপাদনে জৈব সার ব্যবহার দরকার। এতে অর্গানিক বা জৈব খাদ্য উৎপাদন হবে। যা অনেক ভালো ও স্বাস্থ্যসম্মত। তবে এই খাবার তৈরি করতে গিয়ে উৎপাদন কম না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

জৈব খাবার উৎপাদনে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী। একইসঙ্গে এই খাতে এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদের প্রস্তাবিত ১৫ শতাংশ ভর্তুকিকে বিবেচনায় নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেছেন, ‘এ খাতে নার্সিং করা দরকার এবং সরকার তা করবে। এ ছাড়া যা যা করণীয় সরকার তাও করবে।’

এদিকে অনেক বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানির উৎপাদনকৃত পণ্য সম্পূর্ণ নিরাপদ কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম। তাই যেখানে উৎপাদন করা হয়, নিরাপত্তার জন্য সেখানে যেকোনো সময় অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সামনে প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হবে মনে করেন খাদ্যমন্ত্রী।

এর আগে এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, ‘জৈব খাদ্য ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাকরোধে সহযোগিতা করে। একইসঙ্গে ভালো ঘুম ও আয়ু বৃদ্ধি করে। তাই সবাইকে এই খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে আসা উচিত। এ ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য সরকারের প্রতি ১৫ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস এসোসিয়শনের (বাপা) উপদেষ্টা মো. মোসলেম আলী। প্রবন্ধে তিনি বলেছেন, ‘পরিবেশবান্ধব ও প্রাণীবান্ধব কৃষি পদ্ধতিতে উৎপাদিত খাদ্যকে জৈব খাদ্য বলে। যে খাদ্যে কোনো প্রকার কৃত্রিম রং, সার, প্রিজারভেটিভ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় না, যা সনাতন পদ্ধতিতে উৎপাদন করা হয়। জৈব খাদ্য অনেক পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। এই খাদ্যে ভাল ঘুম হয়, মানুষকে দীর্ঘজীবী করে, বণ্য প্রাণীর জন্য উপকারি ইত্যাদি।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে জৈব খাদ্যের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়েছে। তবে এই খাদ্য উৎপাদনে এনজিও এবং কৃষকদের একটি ছোট সংখ্যা অর্গানিক ফার্মিং শুরু করেছে। এর মধ্যে কাজী অ্যান্ড কাজী লিমিটেড অন্যতম। এই খাদ্য উৎপাদনে সরকার কৃষকদের প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে উৎসাহ সৃষ্টি করতে পারে। যা পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে দেওয়া হয়।

এদিকে জৈব খাদ্য উৎপাদনে কিছু সমস্যার কথাও উল্লেখ করেন মো. মোসলেম আলী। এই খাদ্য উৎপাদনে অধিক কৃষক প্রয়োজন হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। এ ছাড়া এটি ব্যয়বহুল ও কম ফলনশীল।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।