মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ওয়ালটন সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দিনব্যাপী ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প


Published: 2022-06-26 23:31:07 BdST, Updated: 2024-03-19 08:53:34 BdST


নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘সবার উপরে মানুষ সত্য: ইকুয়ালিটি ইজ আ রাইট’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার অংশ হিসেবে ওয়ালটনে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বেটার বাংলাদেশ টুমরো’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে ওয়ালটনের মেডিক্যাল টিম এবং ইউনাইটেড হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে শনিবার (২৫ জুন, ২০২২) ওই ক্যাম্পেইন হয়।

করপোরেট অফিসে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইনে ওয়ালটনের সব সদস্যের জন্য ফ্রি মেডিক্যাল চেক-আপের ব্যবস্থা ছিল। যার মধ্যে অন্যতম ছিল বিএমআই, ব্লাড সুগার, ইসিজি ও বিপি টেস্ট। ইউনাইটেড হাসপাতালের ১৫ জন চিকিৎসক ও নার্সের একটি দল ওই ক্যাম্পেইনে অংশ নেন। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে ক্যাম্পেইন চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ওয়ালটন পরিবারের ২৫০ জনের বেশি সদস্য ফ্রি মেডিক্যাল চেক-আপ সুবিধা গ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও গোলাম মুর্শেদ হাতে নিয়েছেন নানা কার্যক্রম। ‘বেটার বাংলাদেশ টুমরো’ শীর্ষক ওই উদ্যোগ এর মধ্যে একটি। এর মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে ওয়ালটন। এসডিজির মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা ও ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের একটি হচ্ছে সবার জন্য ‘সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ’ নিশ্চিতকরণ। এরই অংশ হিসেবে বেটার বাংলাদেশ টুমরো’র তত্ত্বাবধানে ওয়ালটন সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে পরিচালিত হয় ওই ক্যাম্পেইন।

ক্যাম্পেইনের পাশাপাশি এদিন দুপুরে ‘মেন্টাল হেলথ ইন ওয়ার্কস্টেশন’ শিরোনামে ডায়াবেটিক ম্যানেজমেন্ট এবং ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিষয়ে সচেতনতামূলক সেমিনার আয়োজন করে ওয়ালটন। কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ওই সেমিনারে কর্মক্ষেত্রে কিভাবে মানসিক ও শারীরিক সুস্বাস্থ্য রক্ষা করা যায়, সেসব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের হেড অব আউটরিচ মার্কেটিং ড. ফজলে রাব্বি। বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলর হাসিনা খাতুন।

ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এস এম জাহিদ হাসান, ডেপুটি হেড অব অ্যাডমিন প্রকৌশলী সুফিয়ান চৌধুরীসহ ওয়ালটনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশ নেন।

ক্যাম্পেইনে ইউনাইটেড হাসপাতালের কনসালট্যান্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা. মো. মতিউর রহমান, ডা. এস এম সানায়েত বিন মুস্তাফিজ সৃজন ও ডা. নিঘাত আরা।

জানা গেছে, ক্যাম্পেইনে নারী-পুরুষ সব সদস্যের শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে ইউনাইটেড মেডিক্যাল টিম। প্রত্যেককে আলাদা আলাদা প্রেসক্রিপশন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ক্যাম্পেইনে সচেতনতামূলক বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হয়।

এস এম জাহিদ হাসান বলেন, ‘সদস্যদের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় ওয়ালটন সব সময় সচেষ্ট। যারা এখানে কাজ করেন তাদের শরীর ও মন সুস্থ রাখার বিষয়টিতে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হয়। সদস্যদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই ওয়ালটনের এ আয়োজন। ওয়ালটনের মেডিক্যাল ক্যাম্পেইনের এসব কার্যক্রম চলবে। প্রাথমিক শারীরিক-মানসিক সমস্যা চিহ্নিত করা গেলে তাদের পরবর্তী চিকিৎসা সহজ হয়ে যায়। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে এই কাজটাই করে যাচ্ছে ওয়ালটন।’

সাইকোসোশ্যাল কাউন্সেলর হাসিনা খাতুন বলেন, ‘মেন্টাল হেলথ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে কোনো কাজই ঠিকঠাক করা সম্ভব নয়। মেন্টাল হেলথ সবকিছুর মূল। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে ওয়ালটনের মতো সব প্রতিষ্ঠানের উচিত এমন কার্যক্রম পরিচালনা করা।’

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।