শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নর্থবেঙ্গল সুগার মিলে ৪০০ মেগাওয়াটের সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করবে সৌদি আরবের আকুয়া পাওয়ার কোম্পানি


Published: 2020-01-23 07:10:09 BdST, Updated: 2024-04-26 02:22:38 BdST


বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক:
নর্থবেঙ্গল সুগার মিলে ৪০০ মেগাওয়াটের সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করতে চায় সৌদি আরবের বিদ্যু উৎপাদন প্রতিষ্ঠান আকুয়া পাওয়ার কোম্পানি। এ নিয়ে আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার চেয়ারম্যান অজিত কুমার পালের সাথে এক বৈঠক করে সৌদি আরবের এ বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানির টেকনিক্যাল কমিটির প্রতিনিধি দল। দিলকুশার চিনি শিল্প ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুই সদস্যের এ কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাজমুল আলম। কমিটির অপর সদস্য হলেন, অশিষ রঞ্জন।
বৈঠকে চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার চেয়ারম্যান অজিত কুমার পাল, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(বিডা) পরিচালক আরিফুল হক, চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার প্রধান(পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো: আইনুল হকসহ সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য এর আগে গত বছরের অক্টোবরে আকুয়া পাওয়ারের চেয়ারম্যান মোহম্মদ আবু নাইয়ান চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার সাথে বৈঠক করে চিনি শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। সেই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় আজ আকুয়া পাওয়ার কোম্পানির টেকনিক্যাল টিমের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারা জানিয়েছে, তারা যে ধরনের সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন করতে যাচ্ছে, তাতে প্রায় ১২ শত একর জমির প্রয়োজন হবে। এ প্রজেক্ট সফল হলে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। তবে এসব জমির ফষলের কোন ক্ষতি হবেন।
বৈঠক সুত্রে জানা যায়, জানায় সৌদি আরবের এ বিদ্যুৎ কোম্পানি চিনি শিল্প কারখানা সোলার প্লান্টের মাধ্যেম বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়। এজন্য প্রথমিক ভাবে তারা নর্থবেঙ্গল সুগার মিলকে নির্ধারণ করেছেন। এর সম্বভাব্যতা যাচায়ের জন্য বৃহস্পতিবার তারা নর্থবেঙ্গল সুগার মিল কারখানা পরিদর্শনে যাবেন।


বৈঠকে প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প সংস্থার চেয়ারম্যান অজিত কুমার পাল বলেন, সৌদি আরবের এই বিনিয়োগের মাধ্যমে আমাদের এ সংস্থা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। কারণ এর উৎপাদিত বিদ্যুৎ কারখানায় ব্যবহারের পর জাতীয় গ্রীডেও যুক্ত হবে। প্রসঙ্গত আকুয়া পাওয়ার ‘বিশ্বের ১২টি দেশে কাজ করছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ সৌর বিদ্যুতে। এছাড়া জলবিদ্যুৎ, তাপবিদ্যুৎ নিয়েও কাজ করে তারা। বাংলাদেশে এটি সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। এ বিনিয়োগের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হবে সেটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির হবে।’

 

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।