সম্ভাবনাময় খাতে বন্ডেড ওয়ার হাউসসহ আরএমজির মতো ব্যাক টু ব্যাক এলসি সুবিধা চায় ঢাকা চেম্বার
Published: 2020-02-05 05:33:14 BdST, Updated: 2024-04-23 12:34:19 BdST
বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক: দেশের সম্ভাবনাময় শিল্প বিকাশে তৈরি পোষাক খাতের মতো ব্যাক টু ব্যাক এলসি, বন্ডেড ওয়ারহাউসসহ অন্যান্য সুবিধাপ্রদানের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) । ডিসিসিআই’র সভাপতি শামস মাহমুদের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান এম.পি.-এর সাথে সাক্ষাত করে এ আহ্বান জানায় তারা। বিডা’র কার্যালয়ে এ সাক্ষাতকার অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ সম্প্রতি প্রকাশিত ইজ অবডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আট ধাপ উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকারাখার জন্য উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে বাংলাদেশের শিল্প ও বিনিয়োগ পরিবেশ আরো উন্নত হবে। দেশের বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুততম সময়ে ওয়ান-স্টপ সার্ভিস চালুকরণ, বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংশোধন ও দ্রততর কার্যকর করার প্রস্তাব করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। এছাড়াও ঢাকা চেম্বারের সভাপতি দেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে প্রতিবেশি প্রতিযোগী দেশগুলোর ন্যায় অকঠামো খাতে জিডিপির ৬-৮ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ রাখার পাশাপাশি অবকাঠামো খাতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য বন্ড মার্কেট উন্নয়ন, বন্ড ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং গ্রীণ ফিল্ড অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে শেয়ার মার্কেটে অর্šÍভূক্তকরণের প্রস্তাব করেন। ডিসিসিআই’র সভাপতি সম্ভবনাময় দেশসমূহ যেমন দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশসমূহে বাজার সম্প্রাসারণে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক চুক্তিসম্পাদন করার জন্য অর্থনৈতিক কূটনীতি আরও শক্তিশালী করা, বন্দরের কার্যক্রমকে দ্রুত এবং সহজীকরণ করার প্রস্তাব করেন। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বিদ্যমান কোম্পানি আইনে কোম্পানির ঋণ গ্রহণে পরিচালকের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি বিলোপ, কোম্পানির বিলোপ, একীভূতকরণ, কোম্পানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তি বিশেষত ইভোটিং, ভিডিও কনফারেন্সিং-এর ব্যবহার প্রভৃতি অর্ন্তভূক্তকরণের মাধ্যমে আইনটি সহজীকরণের আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমান,এমপি বলেন, ব্যবসা পরিচালনা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নে সরকার বেশকিছুকার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি জানান, ব্যবসা পরিচালনার সূচকে উন্নতি করতে হলে শুধু সংষ্কার কার্যক্রম চলালেই হবেনা বরং এর সুবিধা ব্যবসায়ীদের দ্বারগোড়ায় পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। তিনি দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে কর্পোরেট করের হার কমানোর উচিত বলে মত প্রকাশ করেন। উপদেষ্টা দেশের অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে কৃষি, চামড়া, তথ্য-প্রযু্িক্ত সহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাত সমূহকে তৈরি পোষাকখাতে প্রদত্ত ব্যাক টু ব্যাক এলসি, বন্ডেড ওয়ার হাউস সুবিধা সহ অন্যান্য সুবিধানিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
তিনি ঢাকা চেম্বার কর্তৃক গৃহীত‘আরএনআই (গবেষণা এবং উদ্ভাবন)’ কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান এবং আগামী বাজেটে গবেষানা ও উদ্ভাবন খাতে আর্থিক বরাদ্দের আশ^াস প্রদান করেন।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএ, এফসিএস, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাশিরউদ্দিন, পরিচালক ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, আন্দালিবহাসান, নূহের লতিফ খান, ইঞ্জিঃ মোঃ আল আমিন, আশরাফ আহমেদ, আরমান হক,মোঃ জিয়া উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার শামসুজ্জোহা চৌধুরী, এস এম জিল্লুর রহমান,এনামুল হক পাটোয়ারী, মনোয়ার হোসেন এবং মোঃ শাহীদ হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।