বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পোশাক কারখানার বয়লারের নিরাপত্তাও যাচাই করতে চায় অ্যালায়েন্স


Published: 2017-07-19 13:27:55 BdST, Updated: 2024-04-24 22:53:06 BdST

বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক:বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতে সংস্কারে কাজ করে আসা উত্তর আমেরিকার ক্রেতা জোট সংগঠন অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি এবার তাদের জোটভুক্ত কারখানাগুলোর বয়লারের নিরাপত্তা মান যাচাই-বাছাই করবে।

গতকাল রবিবার পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সঙ্গে বৈঠকে অ্যালায়েন্সের এ দেশীয় পরিচালক জিম মরিয়ার্টি এ প্রস্তাব দেন। এ উদ্দেশ্যে নতুন করে আবার এসব কারখানা পরিদর্শনে যাবে অ্যালায়েন্স।

গত রবিবার বিজিএমইএ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা চেয়েছেন অ্যালায়েন্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর জিম মরিয়ার্টি। ৫ বছরের নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে আবারও মেয়াদ বৃদ্ধি এবং ধারাবাহিক সংস্কারকাজে অ্যালায়েন্সের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা ধসের পর পোশাক খাতের সংস্কারের উদ্দেশ্যে ৫ বছর মেয়াদে এই জোট গঠিত হয়। আগামী জুনে এই মেয়াদ শেষ হবে।

রাজধানীতে বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে সংগঠনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। অ্যালায়েন্স এবং অপর ক্রেতা জোট ইউরোপের অ্যাকর্ড অন বিল্ডিং অ্যান্ড ফায়ার সেফটি বাংলাদেশের বিষয়ে সংগঠনের দায়িত্বশীল সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু, পরিচালক মিরান আলীসহ ঊর্ধ্বতনরা আলোচনায় অংশ নেন। অ্যালায়েন্সের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন জিম মরিয়ার্টি।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, মাল্টিফ্যাবস কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের পর কর্মপরিবেশের নিরাপত্তায় নতুন করে বয়লারকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় অ্যালায়েন্স। এ বিষয়ে জোটের পক্ষ থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে, কারখানা মালিকরা যাতে অ্যালায়েন্সের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে সহযোগিতা করেন।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে সহযোগিতা দিতে বিজিএমইএ রাজি হয়েছে। এ ছাড়া অ্যালায়েন্সের মেয়াদ শেষ হলে তাদের পরবর্তী কার্যক্রম এবং সংস্কারের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সরকার গঠিত রিমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেলকে (আরসিসি) কিভাবে আরো শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।

গত ২৯ জুন সন্ধ্যায় গাজীপুরের কাশিমপুরে মালটিফ্যাবস পোশাক কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে ১৩ শ্রমিক নিহত হন। আহত হন ৪০ শ্রমিক। কারখানাটির সংস্কার চলছিল অ্যাকর্ডের তত্ত্বাবধানে। দুর্ঘটনার পর অ্যাকর্ডের এক বিবৃতিতে নতুন করে বয়লার পরিদর্শনের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনার কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এত দিন বয়লার বিস্ফোরণের বিষয়ে কোনো চিন্তা-ভাবনা করা হয়নি। বাস্তবতা অনুযায়ী অ্যাকর্ড এখন ভেবে দেখবে পরিদর্শন কার্যক্রমে বয়লারকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।