বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ব্লকচেইন নতুন প্রজন্মের ইন্টারনেট: পল ব্রাইজেক ও মীর হক


Published: 2018-02-12 20:25:32 BdST, Updated: 2024-04-18 19:04:13 BdST

বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক: নতুন প্রজন্মের ইন্টারনেট হিসেবে ব্লকচেইন এর নাম সামনে চলে এসেছে। নিরাপদ উপায়ে দ্রুত ও স্বল্প ব্যয়ের জন্যে ইতোমধ্যেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ব্লকচেইন । ব্লকচেইন হচ্ছে তথ্য সংরক্ষণ করার একটি নিরাপদ এবং উন্মুক্ত পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে তথ্য বিভিন্ন ব্লকে একটির পর একটি চেইন আকারে সংরক্ষণ করা হয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেকোনো কার্য-পরিচালনা রেকর্ড করা যেতে পারে। এটি একটি অপরিবর্তনযোগ্য ডিজিটাল লেনদেন যা শুধুমাত্র অর্থনৈতিক লেনদেনের জন্যই প্রযোজ্য নয়। এটা এমন একটি বন্টনযোগ্য ডাটাবেজ যাতে অংশগ্রহণকারী পক্ষ গুলির মধ্যে সব লেনদেনের নথি করে রাখা যায়। প্রতিটি লেনদেন আবার সিস্টেমের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দ্বারা যাচাই করা হয়। একবার লেজারে কোনো তথ্য প্রবেশ করলে স্থায়ীভাবে তা থেকে যায় এবং কখনো মুছে ফেলা যায় না। ব্লকচেইন প্রতিটি একক লেনদেনের যাচাইযোগ্য রেকর্ড নিয়ে গঠিত হয়। এই অন্তর্নিহিত প্রযুক্তি নির্ভুলভাবে কাজ করে এবং বিভিন্ন কাজে এটির প্রয়োগ করা যেতে পারে।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে এমনটাই বলছিলেন সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তিবিদ পল ব্রাইজেক ও মীর হক।

পল ব্রাইজেক বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশের জন্যে ব্লকচেইন একটি কার্যকরী পদ্ধতি হতে পারে। এতে করে আর্থিক খাত, চিকিৎসা সেবা, রাইড শেয়ারিং এর মতো খাতে স্বল্প ব্যয়ে নিরাপদে অধিক সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে।

অনুষ্ঠানে আফিয়া ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও বাংলাদেশের স্থানীয় উদ্যোক্তা ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করা মীর হক জানান, সম্প্রতি মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ভিনসেন্ট ফক্সের সঙ্গে ব্লকচেইন প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোয় কীভাবে ব্লকচেইন কাজে আসতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়।

সেমিনারে বাংলাদেশে রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা চলোর পক্ষ থেকে ব্লকচেইন নিয়ে কাজ করা ও এ-সংক্রান্ত সেবা চালুর ঘোষণা দেন চলোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দেওয়ান শুভ। তিনি বলেন, এ পদ্ধতি প্রয়োগে খরচ কমবে। এতে চালক ও যাত্রী লাভবান হবেন। এ ছাড়া নিরাপত্তাসহ নানা ক্ষেত্রে এ ব্লকচেইন ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

মীর হক বলেন , ব্লকচেইন নতুন ধরনের ইন্টারনেট। এটা পুরো বিশ্বকে পরিবর্তন করে ফেলবে। বেকারত্ব কমিয়ে ফেলবে। বর্তমানে এর ৩৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার রয়েছে । বাংলাদেশের স্থানীয় উদ্যোক্তা ও মেধাবীদের নিয়ে ব্লকচেইনভিত্তিক সেবা দিতে চান তাঁরা। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংযোগ করে ব্লকচেইন নিয়ে কাজ করতে চান। দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারী টেনে আনতে চান। তাঁদের সঙ্গে ইউএনডিপি আছে। নিজেদের অর্থায়নে ব্লকচেইন নিয়ে কাজ করে আরও এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে দেশে কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে শুরুতে চলোকে তাঁদের স্থানীয় সহযোগী করেছেন। ভবিষ্যতে দেশ ও বিদেশে ব্লকচেইন নিয়ে আরও সেবা দিতে কাজ করবেন তাঁরা।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।