বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সবধরনের জাহাজ নির্মাণে সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ:নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী


Published: 2022-09-14 07:41:33 BdST, Updated: 2024-04-18 13:55:58 BdST

নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ফ্রিগেট থেকে শুরু করে সবধরনের জাহাজ নির্মাণে সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেড নির্মিত অত্যাধুনিক মাল্টিপারপাস কন্টেইনার জাহাজ যুক্তরাজ্যের কোম্পানির কাছে হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস, এক্সপোর্ট, বন্ড ও আইটি) হোসেইন আহমদ, নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মো. নিজামুল হক, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা এবং আনন্দ শিপইয়ার্ড লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহেল বারী ।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাহাজ নির্মাণ সেক্টরে বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান- শিপইয়ার্ডগুলো উঠে আসুক; আরো কার্যকর ভূমিকা রাখুক। আর তা করার এখনই সময়। সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা কোভিডকালীন ধাক্কা সামলে উঠেছি। জাহাজ নির্মাণ সেক্টরে বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে।খালিদ মাহমুদ বলেন, মোংলা বন্দরের মেইন জেটিতে আট মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের আপগ্রেডেশন, বে-টার্মিনাল ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ চলমান। পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনালের নির্মাণ কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শিগগির পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেল উদ্বোধন করবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারলে বিশ্বে জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে আমরা এক অথবা দুই নম্বরে থাকতাম। জাহাজ নির্মাণ খাত অর্থনীতিতে শক্তি যোগায়। বাংলাদেশ থেকে আমরা জাহাজ রফতানি করতে সক্ষম হয়েছি। জাহাজ নির্মাণের সূতিকাগার ইংল্যান্ডে জাহাজ রফতানি করছি; এটা একটা বড় অর্জন। দেশের প্রধান রপ্তানি সেক্টর তৈরি পোশাক শিল্পকে আমরা প্যাট্রোনাইজ করছি। জাহাজ নির্মাণ সেক্টরও দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম সেক্টর হবে।জানা গেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা জাহাজটির ধারণক্ষমতা ৬ হাজার ১০০ ডেড ওয়েট টন (ডিডব্লিউটি)। জাহাজটি মাল্টিপারপাস হওয়ায় ভারী স্টিলের কয়েল, খাদ্যশস্য, কাঠ এবং কন্টেইনারের পাশাপাশি বিপজ্জনক দ্রব্যাদিও বহন করা যাবে। বাল্টিক সমুদ্রে চার ফুট বরফ আচ্ছাদিত পরিস্থিতিতেও চলতে পারবে।জাহাজটি যুক্তরাজ্যের এনজিয়ান শিপিং কোম্পানির কাছে হস্তান্তর করা হয়। আনন্দ শিপইয়ার্ড ২০০৮ সালে প্রথম ডেনমার্কে জাহাজ রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য জাহাজ রপ্তানির দুয়ার উন্মোচন করে। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ক্রেতার কাছে ৩৫৬টি জাহাজ নির্মাণ করে সরবরাহ করেছে।

 

 

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।