শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ফোর-জি সার্ভিসে ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ লাগবে


Published: 2017-07-23 20:26:14 BdST, Updated: 2024-04-20 10:18:53 BdST

বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক:দেশে মোবাইল যোগাযোগের সর্বশেষ প্রযুক্তি ফোর-জি সেবা চালু করতে বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটরদের ২২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। অঙ্কের দিক থেকে বিপুল বিনিয়োগ দরকার হলেও প্রথম তিন বছরে ‘উল্লেখযোগ্য’ পরিমাণে অর্থ উঠে আসার কোন দিশা খুঁজে পাচ্ছে না টেলিকম কোম্পানিগুলো।

স্পেকট্রাম চার্জ বাদেই ফোর-জি সেবার অবকাঠামো তৈরিতেই এই পরিমাণ খরচ হবে।

টেলিকম সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফোর-জি স্পেকট্রামের উচ্চ মূল্য, ট্যাক্স, গ্রাহকদের কাছে কাঙ্ক্ষিত সংখ্যায় ফোর-জি সুবিধা সম্বলিত ডিভাইস না থাকা ও ডেটা প্যাকের মূল্য এই সংকটে অবদান রেখেছে।

দেশের মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব) বলছে, থ্রি-জি সার্ভিস চালু করতে যে পরিমাণ বিনিয়োগ করতে হয়েছে সে তুলনায় যা আয় হয়েছে তা আশানুরূপ নয়। থ্রি-জি সার্ভিসের প্রথম তিন বছরে শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবি ৩২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ সময়ের মধ্যে তারা আয় করেছে ছয় হাজার কোটি টাকা।

এমটব-এর সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির জানান, বিনিয়োগকারীরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। সাম্প্রতিক নীতিমালার কারণে ব্যবসার সুযোগ আরও কমে যাচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। তার আশঙ্কা, এর ফলে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হতে পারে।

স্পেকট্রামের নিলাম ও ফোর জি সার্ভিস নিয়ে সম্প্রতি টেলিকম বিভাগের ওয়েবসাইটে দুটি নীতিমালা দিয়েছে সরকার। এই নীতিমালায় ৯০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে প্রতি মেগাহার্টজের জন্য তিন কোটি ডলার ১,৮০০ মেগাহার্টজে সাড়ে তিন কোটি ডলার ও ২,১০০ মেগাহার্টজে দুই কোটি ৭০ লাখ ডলার ভিত্তি মূল্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

অন্যদিকে অপারেটরদের আশা প্রতি মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের মূল্য এক কোটি ৫০ লাখ ডলারের কম হবে। স্পেকট্রামের দাম অর্ধেক করার অনুরোধ জানিয়ে এমটব এর আগে একবার বলেছিল গ্রাহকরা ডেটা ব্যবহার বাড়ালেও সে তুলনায় আয় কমেছে।

নীতিমালার কিছু বিষয়কে ‘অবাস্তব’ আখ্যা দিয়ে মোবাইল অপারেটররা সামগ্রিকতা বিবেচনায় নিয়ে সরকারকে নীতিমালায় কিছু পরিবর্তনেরও সুপারিশ করেছে। “শুধু স্পেকট্রাম কিনলেই হয় না। ফর জি সার্ভিস মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রচুর বিনিয়োগে করতে হবে” বলেন কবীর।

নীতিমালায় আর যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগের অর্থ বিদেশ থেকে আনতে হবে, ইন্টারনেটের গতি প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবিট এর চেয়ে কম হতে পারবে না ও ব্যবহার সংশ্লিষ্ট ডেটা অপারেটরদেরকেই সংরক্ষণ করতে হবে। যতদিন পর্যন্ত সরকার এ ধরণের ডেটা মুছে ফেলার অনুমতি দিবে না ততদিন পর্যন্ত অপারেটরদের নিজ খরচে সব ডেটা সংরক্ষণ করতে হবে।

এর জবাবে অপারেটররা বলছেন, বাংলাদেশি ব্যাংকগুলোই কম সুদে বিনিয়োগের জন ঋণ দিতে সক্ষম। এর যে সুবিধাটি তারা দেখছেন তা হল, বিনিয়োগ দেশের ভেতর থেকে হলে টাকা বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।

সেই সাথে উচ্চ গতি নিশ্চিত করতে বিপুল পরিমাণ অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল বসাতে হবে যার অনুমতি কেবল অল্প কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে রয়েছে।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।