05/09/2025
Anisur rahman
2023-08-21 19:47:38
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি কমানো ও ঋণের অর্থ আদায়ে পুনঃতফসিলের বিশেষ সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আড়াই শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করতে পারবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। রোববার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাহাজ শিল্পের টেকসই উন্নয়ন, রপ্তানি আয় ও কর্মসংস্থান বাড়ানো এবং আমদানি নির্ভরতা কমাতে ‘জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০২১’ প্রণয়ন করেছে সরকার। তবে নানাবিধ নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে রপ্তানিমুখী ও স্থানীয় জাহাজ নির্মাণকারী ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পে নগদ প্রবাহ কমেছে। এতে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিনের অনাদায়ী ঋণ আদায় ও খেলাপি ঋণ কমাতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের ঋণ পরিশোধ প্রক্রিয়া সহজ করতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সুবিধা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশেষ সুবিধার মধ্যে রয়েছে, চলতি বছরের ৩০ জুন বিদ্যমান ঋণের স্থিতির সুদ ও আসলের জন্য আলাদা হিসাব করতে হবে। সুদ বাবদ অর্থ সুদবিহীন ব্লক হিসাবে রাখতে হবে।
আসল বাবদ পাওনার ওপর আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, সুদ আরোপ করা যাবে। এতে দুই বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ১০ বছরে আদায়যোগ্য ধরে ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। গ্রেস পিরিয়ড শেষে প্রথমে আসল আদায় পরে ব্লক হিসাবে রাখা সুদ আদায় করতে হবে। গ্রাহক চাইলে গ্রেস পিরিয়ডের মধ্যেও আসল এবং সুদের অর্থ পরিশোধ করতে পারবে। এ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম আড়াই (২.৫০%) শতাংশ ডাউনপেমেন্ট আদায় করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো জাল-জালিয়াতির ঋণ এ সুবিধাপ্রাপ্ত হবে না। নির্দেশনা জারির পর ৯০ দিনের মধ্যে ডাউনপেমেন্ট বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ জমা দিয়ে গ্রাহককে সুবিধা নিতে আবেদন করতে হবে। ঋণগ্রহীতার আবেদন প্রাপ্তির তারিখ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিয়ে গ্রাহকের আবেদন নিষ্পত্তি করতে হবে।