শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নুরানী ডায়িংয়ের আইপিও অনুমোদ ঋণাত্মক হিসাবে লেনদেন করার সুযোগ পেল শেয়ার বিনিয়োগকারীরান


Published: 2017-02-12 03:49:18 BdST, Updated: 2024-04-26 03:52:25 BdST

বিএসইসি জানিয়েছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং শেয়ারবাজারের স্বার্থে কমিশন মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর রুল ৩(৫) এর ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ফলে যেসব বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত নেতিবাচক রয়েছে তারাও শেয়ার কেনা-বেচার সুযোগ পাবেন।

মার্জিন রুলস ১৯৯৯ এর ৩(৫) ধারা অনুযায়ী, কোনো বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিও ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত নেতিবাচক হলে সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউস তাকে ঋণ সমন্বয়ের জন্য ৩ দিনের নোটিস দেবে। যাতে বিনিয়োগকারী অর্থ সংগ্রহ করে ঋণাত্মক পরিস্থিতি ১৫০ শতাংশ থেকে নামিয়ে আনা যায়। আর ঋণাত্মক অবস্থা ১৫০ শতাংশের নীচে না এলে বিনিয়োগকারী লেনদেন করতে পারেন না। অর্থাত্ যদি কোনো বিনিয়োগকারী ১০০ টাকা ডিপোজিটের বিপরীতে আরো ১০০ টাকা মার্জিন ঋণ সুবিধা নিয়ে মোট ২০০ টাকার শেয়ারে কিনেন, বাজার মন্দার কারণে তার বর্তমান শেয়ারের দাম ৫০ টাকায় নেমে এলে এর অর্থ দাঁড়ায় ইক্যুইটির ডেবিট ব্যালেন্স মার্জিন লোন থেকে ১৫০ শতাংশ কমে গেছে। এ পরিস্থিতিতে মার্জিন রুলসের ৩(৫) ধারা অনুযায়ী, হাউস কর্তৃপক্ষ তাকে চিঠির মাধ্যমে অতিরিক্ত ঋণ পরিশোধের চাপ প্রয়োগ করার পাশাপাশি লেনদেন বন্ধ করে দেবে।

মার্জিন রুলসের এ ধারাটির কার্যকারিতা স্থগিত করায় লেনদেনহীন অবস্থায় থাকা ঋণাত্মক বিও হিসাবধারী বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনা-বেচার সুযোগ পাবেন। এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে মার্জিন রুলসের এ ধারাটি এক বছরের জন্য স্থগিত করেছিল বিএসইসি। যা গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। গত রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে দেয়া এক চিঠিতে স্থিতিশীল ও শক্তিশালী পুঁজিবাজার গঠনের স্বার্থে ঋণাত্মক মূলধনধারী বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা-বেচা করার সুযোগ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়। ২০১০ সালের মহাধসের পর বিশেষ পরিস্থিতি    বিবেচনায় বিএসইসি এ ধারাটির কার্যকারিতা কয়েক দফা স্থগিত করে।

এদিকে গতকাল কমিশন সভায় নুরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার কোম্পানি লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন করা হয়েছে। কোম্পানিটি অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করবে। বাজারে ৪ কোটি ৩০ লাখ শেয়ার বিক্রি করে কোম্পানিটি ৪৩ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানির ব্যবসা সম্প্রসারণ ও ঋণ পরিশোধ করা হবে। গত ৫ হিসাব বছরে কোম্পানিটির গড়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৭৯ পয়সা। সর্বশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুসারে  কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ১৪ টাকা ৩৭ পয়সা।

এছাড়া কমিশন সভায় বে-মেয়াদি ইউএফএস-আইবিবিএল শরিয়াহ ইউনিট ফান্ডের খসড়া প্রসপেক্টাস অনুমোদন করা হয়েছে। মিউচুয়াল ফান্ডটির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। ফান্ডটির উদ্যোক্তার অংশ ২০ কোটি টাকা। সব বিনিয়োগকারীর জন্য বরাদ্দ রাখা রয়েছে ১৮০ কোটি টাকা। যা ইউনিট বিক্রির মাধ্যমে উত্তোলন করা হবে। ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।