বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য চুক্তি নতুন যুগের সূচনা করেছে: বাণিজ্যমন্ত্রী


Published: 2022-09-16 03:25:56 BdST, Updated: 2024-04-24 06:15:31 BdST


নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের ফলে উভয় দেশের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভুটানসহ প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপন করতে দেশের সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং এর প্রয়োজনীয় উন্নয়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। তৃতীয় দেশের মধ্য দিয়ে ভুটানের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ চালুর ফলে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটন খাতে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হবে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ভুটানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব দেব দাশো কর্মা শেরিনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে এলে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ-ভুটান সচিব পর্যায়ের ৮ম সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন তারা। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সৈয়দপুর আঞ্চলিক বিমানবন্দর এবং বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারি স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে। বাংলাদেশে চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্ট বিষয়ে পড়ালেখার সুযোগ নিতে পারে ভুটান। বাংলাদেশে এ বিষয়ে উন্নতমানের শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য চুক্তি সইয়ের ফলে উভয় দেশের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। বিগত ১ জুলাই উভয় দেশ প্রয়োজনীয় এসআরও জারি করেছে। চুক্তির ফলে ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশের বাজারে এবং বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। ফলে উভয় দেশের মধ্যে প্রত্যাশিত হারে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।

উল্লেখ্য, ঢাকায় ১৩-১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-ভুটান সচিব পর্যায়ের অষ্টম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ নেতৃত্ব দেন। ভুটানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব দেব দাশো কর্মা শেরিন ভুটানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন। সভায় ভুটান এবং বাংলাদেশের মধ্যে সই করা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন জোরদার করতে বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট এবং প্রটোকল চূড়ান্তকরণ, বাংলাদেশ-ভুটান এগ্রিমেন্ট এবং প্রটোকলের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আলোচনা, বিশেষ করে তৃতীয় দেশের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ সহযোগিতা এবং বাণিজ্য সহজীকরণ সংশ্লিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও বিভিন্ন আঞ্চলিক ফোরামে পারস্পরিক সমর্থন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, কৃষি এবং শিল্প খাতে উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ যথাক্রমে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), ভুটান স্ট্যান্ডার্ড ব্যুরো, ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার এক্সটেনশন, ভুটান এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড রেগুলারেটি অথরিটির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাণিজ্য ক্ষেত্রে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা দূরীকরণে উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা এবং ভুটান থেকে পাথর আমদানি এবং সোনাহাট শুল্ক বন্দরের মাধ্যমে ভুটানের পণ্য পরিবহন নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিষয়গুলো নিয়ে উভয় দেশ আন্তরিকতার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সচিব পর্যায়ের নবম সভা ভুটানে অনুষ্ঠিত হবে। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) নূর মো. মাহবুবুল হকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।