শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্দর ব্যবস্থাপনায় জাতীয় লজিস্টিক নীতিমালা চান ব্যবসায়ীরা


Published: 2022-09-20 20:53:07 BdST, Updated: 2024-04-19 20:38:41 BdST


নিজস্ব প্রতিবেদক : বন্দর ব্যবস্থাপনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়ন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ইকোনোমিক করিডোরের কার্যক্রম সম্পন্নের ওপর জোর দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বন্দরের লজিস্টিক খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপনা : ব্যবসা-বাণিজ্যে বাংলাদেশের সক্ষমতা’ শীর্ষক সেমিনারে ব্যবসায়ীদের বক্তব্যে এসব দাবি ওঠে। ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর বিশ্বের ৬৪তম ব্যস্ত বন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বিবেচনায় দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনার অভাব, পোর্ট ইয়ার্ডের স্বল্পতা, পোর্ট শেড ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অনুপস্থিতি— প্রভৃতি কারণে এ বন্দরের অবস্থান বেশ পেছনে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সার্বিক সক্ষমতার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রমে পরিচালন ব্যয় উল্লেখজনক হারে কমানো সম্ভব।

এ ছাড়া মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে বে-টার্মিনাল ও পতেঙ্গা টার্মিনালের কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ক্যাপিটাল ড্রেজিং, জেটির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং বন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথের যোগাযোগ আরও উন্নয়নের প্রস্তাব করেন রিজওয়ান রাহমান। একইসঙ্গে তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়ন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম ইকোনোমিক করিডোরের কার্যক্রম সম্পন্নের ওপর জোর দেন। মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বাংলাদেশের বন্দরসমূহের সক্ষমতা বাড়াতে ডিপি ওয়ার্ল্ড, পিএসএ ইন্টারন্যাশনাল এবং রেড সি পোর্টের মতো বিদেশি বেশকিছু প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা দেশের বন্দরগুলোর সক্ষমতা আরও বাড়াবে, যা আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগকে আরও তরান্বিত করতে সক্ষম হবে। সচিব আরও বলেন, বে-টার্মিনাল স্থাপনের লক্ষ্যে এরইমধ্যে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদের কাছ থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার এটি নির্মাণে অগ্রসর হবে। দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য দেশে দক্ষ মানবসম্পদের অনেক ঘাটতি রয়েছে। এ খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে উদ্যোগী হতে হবে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম. মাসরুর রিয়াজ। তিনি বলেন, আধুনিক বন্দর ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যোগাযোগ সম্প্রসারণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং সর্বোপরি সক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দেশের বন্দরসমূহের সক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে সমন্বিত কৌশল প্রণয়ন, পিপিপি মডেলের ভিত্তিতে অবকাঠামোর উন্নয়ন ও কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণ, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, লজিস্টিক সেবার মান উন্নয়ন, জাতীয় লজিস্টিক নীতিমালা প্রণয়ন, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মধ্যকার সমন্বয় বাড়ানো এবং শুল্ক নীতিমালা সংস্কার করা প্রয়োজন।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।