মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

৭ হাজার ৫৩৯ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একনেকে ৯ প্রকল্পের অনুমোদন


Published: 2018-07-29 19:46:18 BdST, Updated: 2024-04-23 14:18:42 BdST


বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক: সাত হাজার ৫৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা খরচে ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৭৫১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ২৫৮ কোটি ৫৭ লাখ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৫২৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা খরচ করা হবে। রোববার (২৯ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, উপজেলাভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ‘উপজেলা শহর (নন-মিউনিসিপ্যাল) মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন ও মৌলিক অবকাঠমো উন্নয়ন’ নামের একটি বৃহৎ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশের ৪৯২টি উপজেলার মধ্যে ৩০৪টি উপজেলা শহরকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির পৌরসভায় উন্নীত করা হয়েছে। এই পৌরসভাগুলোর বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পৌরবাসীর জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির জন্য মোট এক হাজার ২৫৮ কোটি টাকা খরচে এবং ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে। তবে এর বাইরে অবশিষ্ট ১৮৮টি নন-মিউনিসিপ্যাল উপজেলা শহরের অপরিহার্য অবকাঠামো উন্নয়নে এখন পর্যন্ত কোন একক বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ না করায় শহরগুলোতে মৌলিক নাগরিক সুবিধা অর্থাৎ সড়ক, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির ঘাটতি রয়েছে। এ সব মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়নসহ শহরবাসীর জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি ও পরিবেশের উন্নয়নের বিষয়গুলো বিবেচনা করে স্থানীয় সরকার বিভাগ জরুরি ভিত্তিতে নন-মিউনিসিপ্যাল উপজেলা শহরগুলোর অপরিহার্য অবকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রকল্পের ব্যয় এক হাজার ৩৮০ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নকাল নির্ধারণ করা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ১৮৩টি নন-মিউনিসিপ্যাল উপজেলা শহরের টেকসই উন্নয়নের জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করাসহ অপরিহার্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে, এতে শহরগুলোর পরিবেশ ও জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হবে এবং দেশের বড় বড় শহরের উপর ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ কমাতে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।এ প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমগুলো হচ্ছে, ১৮৩টি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন, ৫৬০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, ৯১৫ মিটার ব্রিজ কালভার্ট, ১৮৩টি কাঁচা বাজার নির্মাণ, ১৮৩টি কসাইখানা নির্মাণ, ১০ একর ভূমি অধিগ্রহণ এবং ১৮৫টি মটর সাইকেল কেনা হবে।
গতকালের একনেকে অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হচ্ছে, সরকারি কলেজসমূহে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫১১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৯৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। বিআইডব্লিউটিসির জন্য ৩৫টি বাণিজ্যিক ও ৮টি সহায়ক জলযান সংগ্রহ এবং ২টি নতুন স্লিপওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩১৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫৭৫ কিলোমিটার সেকেন্ডারি লাইনে অপটিক্যাল ফাইবার ভিত্তিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন এবং চালুকরণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা। উপজেলা শহর (নন-মিউনিসিপ্যাল) মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন ও মৌলিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এর ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (রাস্তা ও ড্রেন) প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৬৬০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৩১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। অবকাঠামোগত দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্যের মাধ্যমে দুঃস্থ জনগোষ্ঠির সহনশীলতা বৃদ্ধি (প্রভাতি) প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৭৫৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। নর্দান ইলকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেড এলকায় পাঁচ লাখ স্মার্ট প্রি-পেমেন্ট মিটার স্থাপন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৪১৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।