বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ডিসিসিআই আয়োজিত গোলটেবিলে বক্তারাপ্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে


Published: 2018-11-24 19:29:33 BdST, Updated: 2024-04-18 12:36:04 BdST


বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক:
বর্তমানে প্রাকৃতিক গ্যাসের ঘাটতি দেশে শিল্পের অগ্রগতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে বড় বাধা। আর এ থেকে উত্তরণ এবং বিশ্ব প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে হলে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আজ শনিবার ২৪ নভেম্বর ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত “এলএনজি মূল্য নির্ধারণ: ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পখাতে-এর প্রভাব” শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা এসব কথা বলেন বক্তারা। ডিসিসিআই’র সভাপতি আবুল কাসেম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ প্রধান অতিথি এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য রহমান মুরশিদ গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই’র সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, আমাদের শিল্প-কারখানার জন্য যৌক্তিক মূল্যে জ্বালানি প্রাপ্তির বিষয়টি অত্যন্ত গুরত্বপূণ। শিল্প-কারখানার অগ্রগতির চাকাকে সচল রাখার ক্ষেত্রে সম্প্রতি গ্যাসের স্বল্পতার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। বর্তমানে প্রতিদিন আমাদের গ্যাসের উৎপাদন প্রায় ২,৭০০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট যেখানে আমাদের চাহিদা রয়েছে ৩,৪০০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট এবং চাহিদার এ গ্যাপ মিটানোর জন্য প্রাথমিকভাবে ৫০০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট এলএনজি আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
ডিসিসিআই সভাপতি শিল্পখাতে এলএনজি আমদানির প্রভাব ৭২%-৯৩%, বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে প্রায় ২০৬% এবং ক্যাপটিভ পাওয়ার খাতে প্রায় ৬৬% হবে বলে উল্লেখ করেন বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনের লক্ষ্যে সরকারকে মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তার বাস্তবায়নের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় কয়লার উত্তোলন ও তার ব্যবহারের আহবান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ১০ বছরে বৈশ্বিকবাজারে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বেড়েছে যথাক্রমে প্রায় ৬৩% ও ১১৫%। তিনি জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের উপর আমাদের নির্ভরশীলতা প্রায় ৯০ ভাগ এবং এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎসের বহুমুখীকরণ আবশ্যক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ভারত হতে প্রায় ১১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে যৌথভাবে “হাইড্রো পাওয়ার” ও “সোলার পাওয়ার” ব্যবহার লক্ষ্যে একটি “সার্ক সোলার গ্রিড” স্থাপনের প্রস্তাব করেছেন। আর এলএনজি আমদানির পর তার দাম নির্ধারনের ক্ষেত্রে দেশের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় যেন ব্যয় অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে সরকার যত্নবান হবে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)’র সদস্য রহমান মুরশিদ বলেন, জ্বালানী দাম বৃদ্ধিতে বিইআরসি আয়োজিত গণশুনানি সমূহে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের আরো বেশি হারে তথ্য ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপনের আহবান জানান, যার মাধ্যমে বিইআরসি বাস্তবমুখী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে। তিনি আমাদের অর্থনীতিতে গ্যাসের ভূমিকার উপর একটি গবেষণা পরিচালনা করা প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন, যার ফলে কোন খাতে কি পরিমাণ গ্যাস বরাদ্দ করা হবে তা নির্নয় সম্ভব হবে। তাই জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে গ্যাসের পাশাপাশি অন্যান্য উৎসসমূহের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। „

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।