শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোববার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে এসএমই পণ্য মেলা


Published: 2021-12-03 06:50:55 BdST, Updated: 2024-04-26 06:18:55 BdST

নিজস্ব প্রতিবেদক: রোববার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ৮দিন ব্যাপী এসএমই পণ্য মেলা। আগামী ৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত  ৯ম জাতীয় এই এসএমই পণ্য মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে অংশ নেবে ৩২৫টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান। যার ৬০ শতাংশই নারী উদ্যোক্তা।  মেলায় প্রদর্শীত সকল পণ্যই দেশীয়। এ মেলায় কোন বিদেশী পণ্য প্রদর্শন করা যাবে না। যার মাধ্যমে  ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিক্রয় এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ করা হবে। আজ  ২ ডিসেম্বর  (বৃহস্পতিবার) মেলা উপলক্ষে শেরে বাংলা নগরে পর্যটন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি। সংবাদ সম্মেলনে  অন্যদের  মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমান।

সংবাদা সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী আরো জানান, ৫ ডিসেম্বর  সকাল ১০টায় ৯ম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২১ বিজয়ী ৪জন উদ্যোক্তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও চেক তুলে দেয়া হবে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিতব্য শতভাগ দেশী পণ্যের এই মেলায় উদ্যোক্তাদের জন্য ৩২৫টি স্টলের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া, মেলায় আগত দর্শনার্থীদের মাঝে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচিতি ও কর্মসূচি তুলে ধরার লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের একটি সেক্রেটারিয়েট, মিডিয়া সেন্টার, রক্তদান কেন্দ্র, ক্রেতা-বিক্রেতা মিটিং বুথ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান, যেমন: বিটাক, বিএসটিআই, বিসিআইসি, বিসিক, বিএসইসি, জেডিপিসি, বিসিএসআইআর, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং প্লাটিনাম স্পন্সর ব্র্যাক ব্যাংক, গোল্ডেন স্পন্সর লংকা বাংলা, সিলভার স্পন্সর ব্যাংক এশিয়া ও ইস্টার্ণ ব্যাংক, কো-স্পন্সর জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-এর স্টল থাকবে। ‘জাতীয় শিল্পনীতি ২০১৬’ অনুযায়ী উচ্চ অগ্রাধিকার ও অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষি যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারী শিল্প, আইসিটি, সফট্ওয়ার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, পাট ও পাটজাত, প্লাস্টিক, হস্ত ও কারুশিল্প, জুয়েলারি (কৃত্রিম), খেলনা ও আগর শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত এসএমই প্রতিষ্ঠানসমূহকে মেলায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে।  প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গন দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

এবারের মেলায়  অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই নারী উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, মেলায় অংশ নিচ্ছে ফ্যাশন ডিজাইন খাতের সবচেয়ে বেশি ১১৬টি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া চামড়াজাত পণ্য খাতের ৩৭টি, খাদ্যও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য খাতের ৩৬টি, হ্যান্ডিক্রাফটস আইটেম ৩৩টি, পাটজাত পণ্য খাতের ২৯টি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য খাতের প্রতিষ্ঠান ১৭টি, আইটি খাতের ৪টি, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স খাতের ৬টি, হারবাল ও অর্গানিক পণ্যের ৪টি, জুয়েলারি পণ্যের ৪টি এবং প্লাস্টিক পণ্য খাতের ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।