শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিএসইসি’র চেয়ারম্যানের পদত্যাগসহ ১২ দফা দাবিতে বিনিয়োগকারীদের প্রতীকী গণ-অনশন


Published: 2019-04-29 19:40:23 BdST, Updated: 2024-04-19 21:28:54 BdST

বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক: অব্যাহত দর পতনে পুঁজিবাজার সংস্কারের বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান . খায়রুল হোসেনসহ সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পদত্যাগসহ ১২ দফা দাবিতে প্রতীকী গণ-অনশন করছেন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা ২৯ এপ্রিল সোমবার বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে সকাল ১১টায় প্রতীকী গণ-অনশন শুরু করেন বিনিয়োগকারীরা

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন   প্রতীকী গণ-অনশনে সমর্থন দিয়ে আগামী ২০১৯-২০ সালের বাজেটে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য  যে প্রণোদনা থাকবে তা এখনই প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন এছাড়াও  বিএসইসি চেয়ারম্যান আইন লঙ্ঘন করে কিভাবে ক্ষমতায় আছেন তা খুঁজে বের করার কথা বলেন তিনি

 মেনন বলেন, সংসদে আইন পাশ করি আমরা, কিন্তু তিনি কিভাবে আইন বহির্ভূতভাবে পদে রয়েছেন তা এখনই খুঁজে বের করা উচিত পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ২০১০ সালের ধ্বস পরবর্তী সময়ে আপনাদের আন্দোলন সংগ্রামে আমি সংযুক্ত হয়েছিলাম বাজারের দূরাবস্থায় আবারো আসতে হয়েছে সিংহের মুখ থেকে ছাগলের বাচ্চাকে রক্ষা করার দায়িত্ব সরকারের

সংগঠনের সভাপতি . কে.এম মিজান-উর-রশিদ বলেন, বস্তা পচা আইপিও দিয়ে পুঁজিবাজারকে সর্বশান্ত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান . এম খায়রুল হোসেন আমরা তার পদত্যাগসহ ১২ দফা দাবিতে প্রতীকী গণ-অনশন করছি তিনি বলেন, ১৯৯৬ ২০১০ সালের মহাধসের সাথে সম্পৃক্তদের শাস্তি না হওয়ায় বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জানুয়ারির পর থেকে অব্যাহত দর পতনে বাজারের বিনিয়োগকারীদের পোর্টফলিও খালি হয়েছে যারা মার্জিন ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে তাদের অবস্থা আরো খারাপ বিনিয়োগকারীদেও ১২ দফা দাবি হলো:

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান . খায়রুল হোসেনসহ সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পদত্যাগযে সমস্ত কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করেছে এবং করবে ওই সমস্ত কোম্পানিকে বাধ্যতামূলকভাবে ন্যূনতম ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড দিতে হবে, জেড ক্যাটাগরি এবং ওটিসি মার্কেট বলতে কোনো মার্কেট থাকতে পারবে না দুর্বল কোম্পানির আইপিও প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে খন্দকার ইব্রাহীম খালেদের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করাযে সকল কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের এককভাবে শতাংশ এবং সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার নেই তাদের বিচারের আওতায় আনা, পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধির জন্য সহজ শর্তে অর্থাৎ শতাংশ সুদে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দেয়া, যা আইসিবি, বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংক এবং ব্রোকারেজ হাউজের মাধ্যমে % হারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লোন হিসেবে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন

এছাড়া পুঁজিবাজারে প্রাণ মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে পুঁজিবাজারে সক্রিয় করতে বাধ্য করতে হবে এবং প্রত্যেক ফান্ডের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে কমপক্ষে ১০% হারে নগদ লভ্যাংশ প্রদান করতে হবে এবং মেয়াদ না বাড়িয়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকে ওপেন ফান্ডে রূপান্তর করতে হবে পুঁজিবাজারে যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধিত্ব (বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ) নিশ্চিত করতে হবে ফিন্যান্সিয়াল রিপোটিং অ্যাক্ট ২০১৫ বাস্তবায়ন এবং বাইব্যাক আইন চাল, আইপিও শেয়ারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৮০% কোটা নির্ধারণ, জানুয়ারি ২০১১ সাল থেকে জুন ২০১৯ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মার্জিন লোনের সুদ সম্পূর্ণ মওকুফ করা এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিপরীতে বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ নামে বিকল্প স্টক এক্সচেঞ্জ করা

 

 

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।