প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যে বিনিয়োগের দ্বার উন্মুক্ত হবে

বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক: ভারত-বাংলাদেশের প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ব্যবসায়ীদের বিজনেস টু বিজনেস (বি টু বি) আলোচনা দু’দেশের বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।

শনিবার (৮জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘কৃষি, হর্টিকালচার ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যশিল্পখাতের ওপর ব্যবসায়িক সম্মেলন’ শেষে তিনি এ কথা জানান। ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স এ সম্মেলনের আয়োজন করে। দু’দিনব্যাপী ক্রেতা বিক্রেতা প্রক্রিয়াজাত খাদ্য শিল্পখাতের এ মিলন মেলার উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। ৮ ও ৯ জুলাই  দু’দেশের এ প্রদর্শনী চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

মাতলুব আহমাদ বলেন, এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে দু’দেশের ব্যবসায়ীরা প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য ও বিভিন্ন প্রযুক্তির বিষয়ে জানতে পারছে। এছাড়া ভারত কিভাবে তাদের পণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাত করছে তা আমাদের ব্যবসায়ীরা জানতে পারবেন। আমরা তাদের সঙ্গে বসছি দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য। কিভাবে যৌথ উদ্যোগে শিল্পকারখানা স্থাপন করা যায় তা নিয়ে কাজ করবো। যেসব পণ্য তাদের নেই অথবা তাদের আছে আমদের নেই, সেসব পণ্যের আমদানি রফতানির সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি বলেন, পেঁয়াজ, মরিচ, চাল ও মসলাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কম দামে ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেয়াই মূল উদ্দেশ্য। আজকে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের প্রোগ্রাম এ কাজ অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। একই সঙ্গে তাদের যে প্রযুক্তি আছে তার সহায়তা নিতে ব্যবসায়ী পার্টনার করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, দেশে পেঁয়াজ সংরক্ষণের অভাবে পঁচে যায়। তাদের পেঁয়াজের কোল্ডস্টরেজ আছে। এখানে এ প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে। যা আমরা খুঁজছি। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম দামে পেঁয়াজ কোল্ডস্টরেজ করা হবে। ভোক্তাদের কাছে সাধারণ মূল্যে বিক্রি করা হবে।আকাশ ছোঁয়া দাম আর হবে না।

এ সময় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) উপদেষ্টা নাকিব আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীদের আলোচনা মাধ্যমে দু’দেশের ব্যবসার ধরন সম্পর্কে জানতে পারছি। ফলে দু’দেশের ব্যবসা বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণ হবে