বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

*ভেজাল বিরোধী অভিযানের মুল লক্ষ্য খাদ্য পণ্যের মান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা: শিল্প সচিবব্যবসায়ি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে: শিল্প প্রতিমন্ত্রী


Published: 2023-03-23 01:18:15 BdST, Updated: 2024-04-25 21:03:21 BdST

 


নিজস্ব প্রতিবেদক: একশ্রেণীর ব্যবসায়ি সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়ে উঠতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। বুধবার (২২ মার্চ) রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ভেজাল প্রতিরোধ, মান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা। শিল্পমন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বিএসটিআই’র মহাপরিচালক মো. আবদুস সাত্তার, চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনে মহাসচিব মো. আরিফুর রহমান অপুসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শিল্পমন্ত্রী নুরূল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন প্রধানমন্ত্রীর সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটি মিটিংয়ে থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২ ঘন্টা পর এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। 
সংবাদ সম্মেলনে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক শ্রেণীর ব্যবসায়ি সিন্ডিকেট ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ ও ডলার সঙ্কটের অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করছে। তারা বাজারকে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হচ্ছে। তারা শুধু টাকার পিছনে ছুটছেন। মানুষের জীবন নিয়ে ভাবছেন না। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সিন্ডিকেটের দু-চারটাকে ধরে কঠিন শাস্তি দেয়া হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী নিজের একটা মাছের খামারের দৃস্টান্ত তুলে ধরে বলেন, তিনি যে দামে মাছ বিক্রি করছেন, বাজারে সেই মাছ তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এটি শুধু মাছের বাজারের ক্ষেত্রে ঘটছে তা নয়। সব ক্ষেত্রেই এমনটি হচ্ছে। ভেজাল প্রসঙ্গে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার মুরগী মারা যায়। এসব মরা মুরগী বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টে পরিবেশন করা হচ্ছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চাইনিজ রেস্টুরেন্ট গুলোতে মুরগী জবাই করা হয় না। তাই রমজান মাস থেকে এসব চাইনিজ হোটেল- রেস্টুরেন্টে বিএসটিআই’র নজরদারিতে থাকবে।


সংবাদ সম্মেলনে শিল্প সচিব বিএসটিআই’র গত এক বছরের কর্মকান্ড তুলে ধরে বলেন, জনগুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার বিভিন্ন সময় এসআরও জারি করে ৮৯টি খাদ্য পণ্যসহ মোট ২৩৯টি পণ্য বিএসটিআই’র বাধ্যতামূলক মানসনদের আওতাভুক্ত করেছে। বিএসটিআই প্রসেসড ফুড ও শিল্পজাত পণ্যের মান প্রনয়ন, নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষণ, কারখানা পরিদর্শন, মানসনদ প্রদান, পণ্যের ওজন, ও কারচুপি রোধের জন্য প্রয়োজনী কার্যক্রম গ্রহণ এবং অভিযান পরিচালনা করে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় রমজান মাসে বিএসটিআই অভিযান করে থাকে। এর মুল লক্ষ থাকে খাদ্য পণ্যের মান বজায় রাখা এবং পণ্যের ঘোষিত মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে জবাবে বিএসটিআই মহাপরিচালক বলেন, আমরা অভিযান পরিচালনার সময় ছোট কিংবা বড় প্রতিষ্ঠান দেখি না। বাজার থেকে পণ্য কিনে এনে তা বিএসআিই’র ল্যাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এ্যকশনে যাওয়া হয়। এছাড়া রমজানে ভেজালমুক্ত পণ্য সরবরাহের জন্য ইফতার ও সেহরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে ৮২৬টি পণ্যের সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৭৪টি পণ্যের পরীক্ষা শেষ হয়েছে, তার মধ্যে ৭৬০টি মানসম্মত, ১৪টি নিন্মমানের পণ্য পণ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া ৫২টি পণ্য এখন পরীক্ষাধীন রয়েছে।

 

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।