শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাশিয়ায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী


Published: 2018-01-21 19:20:50 BdST, Updated: 2024-04-19 20:33:53 BdST

বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক: রাশিয়ায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে সফররত রাশিয়ার কৃষি বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার লেভিন সারজে এলভোভিসসের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বড় রপ্তানি বাজার। শুল্ক ও আর্থিক দেনদেনের কিছু জটিলতার কারণে রাশিয়ার বাজারে প্রত্যাশামত বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি করা যাচ্ছে না। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাশিয়া বাংলাদেশকে প্রায় ৭১টি পণ্য রপ্তানিতে ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করছে। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরী পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে এ বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে না।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য জটিলতা দূর করতে বাংলাদেশ কিছুদিন আগে ইউরেশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সদস্য হতে সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। কিছুদিনের মধ্যেই বাংলাদেশ এ কমিশনের সদস্য পদ লাভ করবে। তখন রাশিয়ার সাথে বাণিজ্য করতে কোন জটিলতা থাকবে না। রাশিয়া বাংলাদেশকে তৈরী পোশাক রপ্তানিতে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবধা প্রদান করলে রাশিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি অনেক বৃদ্ধি পাবে। রাশিয়া সহানুভূতির সাথে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২৫ সালের ‘ওয়াল্ড এক্সপো’-এর আয়োজক হতে চায় রাশিয়া। এ বিষয়ে আগামী নভেম্বরে সিদ্ধান্ত হবে। বাংলাদেশ এ ফোরামের সদস্য। এ বিষয়ে রাশিয়া বাংলাদেশের সমর্থন চায়। সদস্য দেশগুলো ভোট দিয়ে ‘ওয়াল্ড এক্সপো’-এর স্থান নির্ধারণ করে থাকে। এবারে মেলার আয়োজক হতে আগ্রহী রাশিয়া, ফ্রান্স, জাপান এবং আজার বাইজান।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু। বিভিন্ন বিষয়ে রাশিয়া বাংলাদেশকে সহজায়তা দিয়ে থাকে। রাশিয়া বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এটি দেশে সবচেয়ে বড় বিদেশী বিনিয়েয়োগ। এখানে ২ হাজার ৪শ’ মে. ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। আগামী ২০২৪ সালে এটি চালু হবে। রাশিয়ায় বাংলাদেশের উৎপাদিত আলুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। রাশিয়ায় আলু রপ্তানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, গত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ৪৬৪.৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে আমদানি করেছে ৪৩৭ দশমিক ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। রপ্তানি বাণিজ্যে জটিলতা দূর হলে রাশিয়া বাংলাদেশের রড় রপ্তানি বাজার হবে।

এ সময় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, অতিরিক্ত সচিব মুন্সী সফিউল হক, ডব্লিউটিও সেলের ডিজি মুনীর চৌধুরী এবং অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি-২) তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।