শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডে  পৌঁছতে চায় ওয়ালটন


Published: 2019-10-31 11:10:25 BdST, Updated: 2024-04-20 07:39:59 BdST

ওয়ালটনের শুরুটা হয়েছিল বিদেশি পণ্য আমদানির মাধ্যমে। ১৯৯৯ সালে চীন থেকে আমদানি করা টেলিভিশন বিক্রির মাধ্যমে ওয়ালটন ইলেকট্রনিকসের বাজারে যাত্রা শুরু করে। লক্ষ্য ছিল একসময় দেশেই কারখানা করা। ওয়ালটনের উদ্যোক্তা প্রয়াত এস এম নজরুল ইসলাম সে লক্ষ্য পূরণে বেশি সময় নেননি। ২০০৫ সালের শেষ দিকে ওয়ালটন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জমি কিনে কারখানার কাজ শুরু করে। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয় ২০০৮ সালে, ফ্রিজ দিয়ে। বর্তমানে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের স্বপ্ন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিকস কোম্পানি হওয়া। একসময় তারা বলেছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিকস কোম্পানি হবে ওয়ালটন।  সেসময় অনেকেই তা বিশ্বাস করতে চায়নি। কারণ বৈশ্বিক বাজারে ইলেকট্রনিকসের অনেক বড় বড় নাম আছে। পৃথিবীর আনাচকানাচে বিশ্বখ্যাত এসব ব্র্যান্ডের পণ্য সুপরিচিত, বাংলাদেশেও তা সহজলভ্য। তাই এ দেশের বাজার দখলের লড়াইয়ে সবাইকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষস্থান অর্জন করাটা ছিল খুবইা কঠিন। কিন্তু ওয়ালটন সেটা করে দেখিয়েছি। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের বাজারে ওয়ালটন ফ্রিজ ১ নম্বর স্থানে রয়েছে। দেশের ৮০ শতাংশ বাজার তাদের দখলে।  এখন ওয়ালটনের টার্গেট ২০২৫ সালে বিশ্বের সেরা ১০টি এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সেরা ৫টি ব্র্যান্ডের একটিতে পরিণত হওয়া। সে টার্গেট নিয়ে  এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। বিজনেস ওয়াচ এসব বিষয় নিয়ে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (রেফ্রিজারেটর) এর নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)  গোলাম মুর্শেদ এর সাথে খোলামেলা আলোচনা করে। আমরা সেই আলোচনার চম্বুকাংশ পাঠকদের কাছে তুলে ধরলাম।

বিজনেস ওয়াচ: বর্তমানে বিশ্ববাজারে ফ্রিজের চাহিদা  কত? এর মার্কেট সাইজটা কত। আর সেই বাজারে নিজেদের শির্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে ওয়ালটন কতটা প্রস্তুত?

গোলাম মুর্শেদ: বর্তমানে বিশ্বাজারে প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলারের ফ্রিজের মার্কেট রয়েছে। স্থানিয় ও আন্তর্জাতিক এ বাজারকে টার্গেট করে নতুন মডেলের ফ্রিজ উৎপাদন করছে ওয়ালটন।  এসব ফ্রিজে আধুনিক যত প্রযুক্তি থাকতে পারে, তার সবকিছুই আমরা ব্যবহার করছি।  এর একটাই লক্ষ্য  বিশ্বের সেরা ব্র্যা-ের তালিকায় নিজেদেও জায়গা করে নেয়া। এতে হয়তো অনেকেই হাসবে। কিন্তু  এই মুহুর্তে এটাই আমাদের স্বপ্ন। এ স্বপ্ন এখন আমাদের ঘুমাতে দেয় না। আমরা অপেক্ষায় আছি কবে নাগাদ আমাদের সে স্বপ্ন বাস্তবে রুপ  নেবে।

বিজনেস ওয়াচ: বিশ্ববাজারে যে ধরনের কোয়ালিটির চাহিদা ওয়ালটন তা পারবে কি?

 

গোলাম মূর্শেদ: অবশ্যই পারবে। আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করেই বাজারে ফ্রিজ ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটনের ফ্রিজে বিশ্ব স্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর ৬০০-এ গ্যাস ব্যবহূত হচ্ছে। আমাদের ফ্রিজ ক্ষতিকারক সিএফসি গ্যাস নিঃসরণ করে না। এছাড়া গ্রিন টেকনোলজি, ন্যানো হেলথ কেয়ার প্রযুক্তি, ইনভার্টার সিস্টেম, ডাইরেক্ট ইভাপোরেটিভ কুলিং সিস্টেম (ডিইসিএস), টেম্পাড গ্লাস, ওয়াইড ভোল্টজ রেঞ্জ, কুলিং পার্ক, এন্টি ফাংগাল গ্যাসকেট প্রযুক্তি, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্রের ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও স্থানীয় আবহাওয়া উপযোগী করে তৈরি হয় ওয়ালটনের ফ্রিজ।

বিজনেস ওয়াচ: টার্গেট পূরণে বাজারে নতুন কী কী মডেলের ফ্রিজ এসেছে? ফ্রিজগুলোতে কী কী সুবিধা রাখা হয়েছে?

গোলাম মুর্শেদ: টার্গেট পূরণে ওয়ালটন বাজারে এনেছে নতুন ৫৫ মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজ। নতুন আসা ৫৫ মডেলের মধ্যে রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ৪১টি ফ্রস্ট ও ৮টি নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। ডিপ ফ্রিজে নতুন এসেছে ৬টি মডেল। ফ্রস্ট ফ্রিজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মডেল এসেছে মজবুত টেম্পারড গ্লাস ডোরের রেফ্রিজারেটর। ফ্রিজের দরজায় ব্যবহার করা হয়েছে ৯-লেয়ার ভিসিএম ডোর। ফলে সহজে মরিচা ও দাগ পড়ে না। এ ছাড়া ডাইরেক্ট ইভাপোরেটিভ কুলিং সিস্টেম ফ্রিজকে ঠা-া রাখে এবং বিভিন্ন খাবারের গন্ধ মিশ্রিত হতে দেয় না। ‘ন্যানো হেলথ কেয়ার প্রযুক্তি’ ফ্রেশ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার নিশ্চিত করে।  কুলিং প্যাক টেকনোলজির কারণে ফ্রিজকে ঠা-া রাখা হয় এবং বিদ্যুত্ চলে গেলেও ফ্রিজকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়তি ঠা-া রেখে খাবারের মান অক্ষুণ্ন রাখে। এছাড়া অ্যান্টি ফাংগাল গ্যাসকেট ব্যবহারের ফলে ফ্রিজে ছত্রাক কিংবা ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে না।

বিজনেস ওয়াচ: ওয়ালটনের এ বিস্ময়কর সাফল্যের পিছনের কারণ সম্পর্কে যদি কিছু বলেন ?

গোলাম মুর্শেদ:  দেশ প্রেম ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা। এদুটো বিষয় ওয়ালটনকে আজকের এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে।  কারণ ওয়ালটনের স্লোগান হলো ‘আমাদের পণ্য’। মানুষের ধারণা ছিল ওয়ালটন মনে হয় চীন থেকে পণ্য আমদানি করে শুধু জোড়া দেয়। কিন্তু এটি সত্যি নয়।  ফ্রিজ তৈরির জন্য যা কিছু লাগে, সবকিছুই তারা তৈরি করে। কাঁচামাল আসে বিদেশ থেকে। ওয়ালটনের সবচেয়ে স্বকীয়তা কমপ্রেসার তৈরিতে। বিশ্বে মোট ১৪টি কমপ্রেসার কারখানা রয়েছে, যার একটি ওয়ালটনের ।

এছাড়া ওয়ালটন মাদারবোর্ড তৈরির মতো প্রযুক্তিও রপ্ত করেছে। ব্যাটারিও তাদের কারখানায়ই তৈরি হয়। তবে টেলিভিশনের মনিটর ও ফোনের ডিসপ্লে তৈরি করে না। এগুলো উৎপাদন করে বিশ্বের গুটিকয় কোম্পানি। ফ্রিজ ছাড়াও টেলিভিশন, এসি, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ, মুঠোফোন, গৃহস্থালি বিভিন্ন সরঞ্জাম, ইলেকট্রিক পণ্য, তার, রাসায়নিক, এলিভেটর বা লিফট, এলইডি বাতি এসব পণ্য বাংলাদেশেই তৈরি হয়।

এ ছাড়া মাছ চাষসহ বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে। আছে হেলিপ্যাডও। ওয়ালটন খুব কম পণ্য বাইরে থেকে কেনে বা আমদানি করে। এমনকি কারখানায় কর্মীদের খাওয়ার জন্য বিস্কুট, দুগ্ধজাত পণ্যও নিজেরাই তৈরি করে তারা।

বিশ্ববাজারে নিজের অবস্থান করে নিতে ওয়ালটন নিজের পণ্যের নকশা ও উন্নয়ন নিজেই করে। এজন্যে ওয়ালটনের রয়েছে গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগে বিশাল কর্মিবাহিনী । এরমধ্যে ই এম ইয়াং নাম উল্লেখযোগ্য। যিনি একজন কোরীয় নাগরিক। ওয়ালটনের যোগদানের আগে ৩২ বছর স্যামসাংয়ের হোম অ্যাপলায়েন্স বিভাগে মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ওয়ালটনে এখন মান নিয়ন্ত্রণের কাজটি সামলাচ্ছেন। এছাড়া প্যানাসনিকের এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে বাংলাদেশে এনে নকশা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব দিয়েছে ওয়ালটন। তাই আশা করছি ওয়ালটন দ্রুতই বিশ্বের শির্ষস্থানীয় ব্র্যা-ে পৌঁছে যাবে।

বিজনেস ওয়াচ: বিশের¦ শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডে  পৌঁছতে কি পদক্ষেপ নিয়েছেন?

গোলাম মুর্শেদ: এখন মোট ২৫টি দেশে পণ্য রপ্তানি করে। বৈশ্বিক বাজারে ওয়ালটনের পদচিহ্ন প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আমাদের বড় বাজার মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা। পাশাপাশি  ইউরোপ ও সার্কভুক্ত দেশগুলোতে পণ্য রপ্তানি করছি।  চীন থেকে আমদানিতে শুল্ক বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশ কিছু ক্রেতা আসছে, যারা বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক পণ্য নিতে আগ্রহী। এছাড়া পণ্য বিক্রির জন্য  আমাজনের সঙ্গেও চুক্তি হয়েছে।  অতি সম্প্রতি আমারা হুন্দাইয়ের সঙ্গে চুক্তি করেছি। তারা ভারতের বাজারে ১ লাখ ফ্রিজ নেবে। এর বাইরে আরও একটি ভারতীয় বড় কোম্পানির সঙ্গে আমাদের চুক্তি হবে,

যারা বৈশ্বিকভাবে সুপরিচিত। এ রকম বিশ্বের বড় আরও ১০টি কোম্পানি বাংলাদেশে আমাদের সঙ্গে পণ্য কেনার চুক্তি করতে আসবে। আমি এখনই তাদের নাম বলছি না। এসব কোম্পানিকে মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করা, দেশের সুনাম রক্ষা করাই এখন আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। আশা করছি আমরা সেটা পারব।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেশজুড়ে নিজস্ব বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ৩৫০টির বেশি,  যেগুলো ওয়ালটন প্লাজা বলেই পরিচিত। এছাড়া পরিবেশক আছে ১২ হাজারের বেশি। ওয়ালটনের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ মনে করে, দেশের বাজারে তাদের পণ্য বিক্রি সুউচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এখন বিদেশের বাজার ধরার পালা। সে লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছে ওয়ালটন।

আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে ওয়ালটন এডওয়ার্ড কিম নামের একজন কোরীয় নাগরিককে আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে, যিনি কোরীয় ইলেকট্রনিক ‘জায়ান্ট’ এলজির বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।

কমপ্রেসার তৈরির কারখানা করতে একটি জার্মান কোম্পানির যন্ত্রপাতি কিনে এনেছিল ওয়ালটন। ১০০ জনের মতো কর্মীকে তারা প্রশিক্ষণে পাঠিয়েছিল জার্মানিতে।

বিজনেস ওয়াচ: বিদেশি কোম্পানিগুলো গবেষণা ও পণ্য উন্নয়নে প্রচুর ব্যয় করে। ওয়ালটন এ ক্ষেত্রে কি করছে?

গোলাম মুর্শেদ: গবেষণা ও পণ্য উন্নয়ন যেকোনো শিল্পের মূল জায়গা। এখানে শক্তি অর্জন করতে পারলে কোম্পানি এগিয়ে যায়। আমরা যে খাতে মূল ব্যবসা করি, এ খাতে আমাদের চেয়ে বড় গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ আছে বিশ্বের পাঁচ থেকে ছয়টি কোম্পানির।

বিজনেস ওয়াচ: বাংলাদেশের ফ্রিজের বাজারে ৮০ শতাংশ হিস্যা ওয়ালটনের। এ অর্জন কীভাবে সম্ভব হলো?

ওয়ালটন: আমাদের একটা স্লোগান আছে, ফিট ফর অল (সবার উপযোগী)। আমরা সবার চাহিদা, পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্য তৈরি করার চেষ্টা করি। দামটাও সাধ্যের মধ্যে রাখার চেষ্টা করি। এ দেশের মানুষ ভালো পণ্য সবচেয়ে সাশ্রয়ী দামে কিনতে চায়।

বাংলাদেশে মানুষ বৈচিত্রময় পণ্য কেনার চেষ্টা করে। আমরা সেটা পূরণ করার চেষ্টা করি। আমাদের এখন ৭৯টি রঙের ফ্রিজ উৎপাদিত হচ্ছে। প্রতি মাসে অন্তত ২০টি করে রং আমরা পাল্টাই। আমরা সব সময় চেষ্টা করি, যারা ফ্রিজ পাল্টাতে চায়, তারা যেন আবার ওয়ালটনই কেনে।

বিজনেস ওয়াচ: আপনাদের কমপ্রেসারের মান কেমন?

গোলাম মুর্শেদ: বিশ্বে মোট ১৪টি কারখানা আছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে একটি। এশিয়ায় আমরা অষ্টম দেশ হিসেবে কমপ্রেসার কারখানা করেছি। আমরা এখন কমপ্রেসার রপ্তানি করছি। আমাদের কমপ্রেসার মানের দিক দিয়ে খুবই ভালো। বিশ্বের সবচেয়ে কম শব্দ উৎপাদনকারী কমপ্রেসার তৈরি করি। সাধারণত একটি কমপ্রেসার ৩৮-৪০ ডেসিবল শব্দ উৎপাদন করে। ওয়ালটনের কমপ্রেসার করে ২৮-৩০ ডেসিবল। আমাদের কমপ্রেসার তৈরি হয় জার্মান প্রযুক্তিতে।

বিজনেস ওয়াচ: ফ্রিজের বাইরে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি), টেলিভিশন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবসা কেমন?

গোলাম মুর্শেদ: দেশে এসির চাহিদা বাড়ছে। আমাদের ব্যবসাও বাড়ছে। ওয়ালটনের টেলিভিশন কারখানা খুবই সমৃদ্ধ, এটা খুব কম দেশেই আছে বলে আমার ধারণা। আমরা শুধু ওপেন সেল (মনিটর) তৈরি করি না, কারণ সেটা তৈরি করতে বিপুল চাহিদার প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া মাদারবোর্ড, রিমোট, স্পিকার, কেসিং-সবকিছুই আমরা তৈরি করি।

একনজরে ওয়ালটন

উদ্যোক্তা

এস এম নজরুল ইসলাম। তিনি ৯৩ বছর বয়সে ২০১৭ সালে ইন্তেকাল করেন।

 

প্রতিষ্ঠান

ওয়ালটনের অধীন বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের কারখানা আছে ১৫টির বেশি। ফ্রিজ উৎপাদনের ইউনিট সবচেয়ে বেশি। 

 

কারখানা

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে। নাম ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স। জমির পরিমাণ প্রায় ৭৬৪ একর। 

 

পণ্য

ফ্রিজ, টেলিভিশন, এসি, হোম এ্যাপ্লায়েন্স, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ, মুঠোফোন, গৃহস্থালি সরঞ্জাম, ইলেকট্রিক পণ্য ইত্যাদি।

 

দেশের বাজার

ফ্রিজের বাজারে হিস্যা প্রায় ৭৪ শতাংশ। অন্য পণ্যেও শীর্ষস্থানীয়। ৩৫০টির বেশি ওয়ালটন প্লাজা, ১২ হাজারের বেশি পরিবেশক ও অন্যান্য দোকানে ওয়ালটন পণ্য বিক্রি হয়।

 

রপ্তানি

ওয়ালটন পণ্য পৌঁছে গেছে ৩০টিরও বেশি দেশে। সর্বশেষ গত ২২ আগস্ট আমাজনের সঙ্গে পণ্য বিক্রির চুক্তি।

 

কর্মী

ওয়ালটনে কাজ করে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী।

 

স্লোগান

আমাদের পণ্য’।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।