বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সকল উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হবে: অলক কুমার মজুমদার


Published: 2017-04-08 04:00:11 BdST, Updated: 2024-04-25 13:41:44 BdST

বিওয়াচ প্রতিবেদক:সারা বিশ্বের উন্নয়নকে টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা -৬ হলো পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন সক্রান্ত। এতে বলা হয়েছে ২০৩০ সালের সকলের জন্য পর্যাপ্ত ও টেকসই পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এ গোলের আওতায় ২ নং টার্গেটে বলা হয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সকল উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হবে। উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ শূন্যে নিয়ে আসা অবশ্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন ওয়াশ এ্যালায়েন্স বাংলাদেশ এর কান্ট্রি  কো-অর্ডিনেটর অলক কুমার মজুমদার। বিজনেস ওয়াচকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, “দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি যেমন দরিদ্রতার জন্ম দেয় আবার দরিদ্রতাও দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্ম দেয়। দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ দারিদ্র্যপীড়িত জনগোষ্ঠীর সাথে ওয়াশ এ্যালায়েন্স বাংলাদেশ কাজ করে আসছে। এনজিওদের কাজের ইতিবাচক দিকগুলি হচ্ছে দরিদ্রতম জনগোষ্ঠীর অনেক ক্ষেত্রেই সচেতনতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। পিতা-মাতারা শিশুশিক্ষা নিশ্চিতকরণে অনেক বেশি আগ্রহী। উন্নয়নে মহিলাদের অংশগ্রহণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া পরিবারের মহিলাদের সম্মান এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমর্থতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে মহিলারা স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়েছে এবং এ সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী আগের তুলনায় অনেক বেশি অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হতে পেরেছে এবং পরিবারে তাদের অবদান স্বীকৃত হচ্ছে। গ্রামে দরিদ্র পরিবারগুলি ঘরবাড়ির অবস্থা আগের যে কোন সময়ের তুলনায় ভালো হয়েছে। চরম দরিদ্র পরিবাগুলির মধ্যে চরম খাদ্য সংকট অনেকাংশে কমেছে। কিন্তু সবার শিক্ষা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিতকরণ এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের চেষ্টা সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে অব্যাহত রয়েছে। গ্রামে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের অভাব এখনও বিদ্যামান।” আছে বলে মনে করেন  ওয়াশ এ্যালায়েন্স বাংলাদেশ এর কান্ট্রি  কো-অর্ডিনেটর অলক কুমার মজুমদার। বিজনেস ওয়াচকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা তুলে ধরেন তিনি।

বিজনেস ওয়াচ : আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রেক্ষাপট ও বর্তমান কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি?
অলক কুমার মজুমদার  : ওয়াশ এ্যালায়ন্স নেদারল্যান্ড ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশে এর কার্যক্রম শুরু হয় ২০১১ সাল থেকে। আমাদের মূল কাজ হচ্ছে পার্টনার অরগানাইজেশনের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ওয়াটার ও স্যানিটেশনের কাজ করা। আমাদের পাটর্নার ওর্গানাইজেশন হলো : ওয়াটার এইড, প্রাকটিক্যাল এ্যাকশন, হোপ ফর দি পুওর, উত্তরণ, স্লোব বাংলাদেশ, ডরপ্।

বাংলাদেশ ওয়াশ এ্যালান্সে ৩০৯,১৯৩ জন পরিবারকে স্যানিটেশন দিয়েছে। ৭৫,৩১০ জন পরিবারকে স্যানিটেশনের আওতাভূক্ত করেছে। ১৮৭৮৯৮ জনকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ- ব্যবস্থা করেছে। ৫৩,৮২,২৭৮ জনকে স্যানিটেশন ব্যবহার সম্পর্কে অব্যাহত করেছে। আমরা বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন নিয়ে নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষভাবে কাজ করছি। এছাড়াও কর্ম এলাকার দারিদ্র্য বিমোচন এ প্রতিষ্ঠানের মূল্য লক্ষ্য ‘অতি দরিদ্র পরিবারের শিশুদের শিক্ষা’ নিশ্চিত করতে অবদান রাখছি। জনগোষ্ঠীর চরম দরিদ্র পরিবারগুলির বিশেষতঃ মহিলাদের স্যানিটেশন ব্যবহারে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষ করে তুলেছি। এছাড়াও মহিলাদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষ জনগোষ্ঠিতে রূপান্তর ঘটানো হচ্ছে। এতে তারা তাদের নিজস্ব কর্মউদ্যোগের মাধ্যমে টেকসই কর্মসংস্থান ও আয়বর্ধক কার্যক্রমের মাধ্যমে জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করছে।

বিজনেস ওয়াচ : দারিদ্র্য বিমোচনে দেশের এনজিওদের ভূমিকা আপনি কিভাবে দেখেন?
অলক কুমার মজুমদার  : এনজিওরা গ্রামের এবং শহরের দরিদ্র শ্রেণির উন্নয়নের জন্য কাজ করে আসছে। সংগঠনের মাধ্যমে গ্রাম ও শহরের বিশাল দরিদ্র জনগোষ্ঠিকে উন্নয়নের মুল ধারায় সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ সংগঠনগুলির মাধ্যমেই জনসংখ্যা প্রতিরোধ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন আয়মূলক কর্মকান্ড চরম দরিদ্র পরিবারগুলির পুষ্টির উন্নয়নসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকান্ড পরিচালনায় অত্যন্ত শক্তিশালী ও দক্ষ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে এবং এইসব কার্যক্রমের দেশে বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।
বিজনেস ওয়াচ : বাংলাদেশের উন্নয়নে দাতা সংস্থাসমূহের যে ভূমিকা রয়েছে তা কি সন্তোজনক?
অলক কুমার মজুমদার  : আমাদের দেশে দাতাসংস্থার বিভিন্ন আঙ্গিকে কাজ করছে। তবে আমরা যেহেতু আমাদের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য তাদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তা তৈরি করি সেহেতু দেখা যায় কার্যক্রম পরিচালনা ভালভাবে চলছে।


বিজনেস ওয়াচ : দেশের এনজিও সেক্টরের কাঠামো ও দক্ষতা সম্পূর্ণ করতে যে মানবসম্পদ প্রয়োজন তা কি যথাযথ বলে আপনি মনে করেন? 

অলক কুমার মজুমদার  : অনেকটা অপ্রতুল। এর জন্য আমাদের আরো অনেক কাজ করার প্রয়োজন কারণ দেশে যে পরিমান দক্ষ মানবসম্পদ প্রয়োজন তা আমাদের নেই। অর্থ্যাৎ প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। এক্ষেত্রে যে সব ছোট এনজিও রয়েছে তাদেরকে বড় বড় এনজিওগুলো ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ করে তুলতে পারে। সরকারও তাদেরকে সেক্টর ভিত্তিক ট্রেনিং দিয়ে দক্ষ করে তুলতে পারে সেক্ষেত্রে সরকারের জোরালো ভূমিকা থাকা উচিত। তাহলে দেখা যাবে এনজিও সেক্টরে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে উঠছে এবং দেশ ও জনগনের প্রতি তারা ভূমিকা পালন করছে।
বিজনেস ওয়াচ: এনজিও সেক্টরের ওপর আপনার সার্বিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাচ্ছি?
অলক কুমার মজুমদার : আমরা কাজ করছি এবং কাজ করতে চাই। এ সেক্টরের দীর্ঘদিনের পথ পরিক্রমার এ কথা বলা অনিবার্য যে, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন এনজিও সেক্টরকে বাদ দিয়ে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল মহল থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রয়োজন। এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর কাছে আবেদন- তারা যেন যেভাবে কাজ করলে সহজ হবে সে প্রক্রিয়াই গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের সহায়তা চাই। এনজিও’র প্রতি সরকারের মনোভাব আরো সহনশীল হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আমি মনে করি সরকার ও এনজিও মিলে আরো সৌহার্দ্য পূর্ণভাবে কাজ করলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, দারিদ্র্য বিমোচন সহজতর হবে এবং সার্বিক উন্নয়নের পথ প্রশন্ত হবে।
বিজনেস ওয়াচ : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পর্যাপ্ত ওয়াটার ও স্যানিটেশন না থাকায়, দেশ কতটুকু ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে?
অলক কুমার মজুমদার  : বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, অপর্যাপ্ত স্যানিটেশনের ফলে দেশে ২৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। একজন ব্যক্তির পানি বাহিত রোগ হচ্ছে বছরে ৩-৪ বার। ফলে স্বাস্থ্যখাতে দেশ আর্থিক সংকটে পড়ছে। একে রোধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে। বাংলাদেশের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য আলাদা বাথরুম নেই। ফলে মেয়েরা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই মেয়েদের জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে।


বিজনেস ওয়াচ : বর্তমানে সারা বিশ্বে ২৪০ কোটি লোক উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশে স্যনিটেশন লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে কিছু বলুন? 

অলক কুমার মজুমদার  : শুন্যের অভিমুখে যাত্রা সবসময় ধনাত্মক নয় বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা সাফল্যের র্নিণায়ক। সারা বিশ্বব্যাপী সকলের প্রচেষ্টা স্যনিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়ন করার মাধ্যমে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ শুন্যের কোঠায় নিয়ে আসা। সম্প্রতি জতিসংঘ ২০১৬-২০৩০ মেয়াদের জন্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। সারা বিশ্বের উন্নয়নকে টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য মোট ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা -৬ হলো পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন সক্রান্ত। এতে বলা হয়েছে ২০৩০ সালের সকলের জন্য পর্যাপ্ত ও টেকসই পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এ গোলের আওতায় ২ নং টার্গেটে বলা হয়েছে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের সকল উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হবে।
উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ শূন্যে নিয়ে আসা অবশ্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে সারা বিশ্বে ২৪০ কোটি লোক উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশ স্যানিটেশন লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে প্রভূত সাফল্য অর্জন করেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০০৩ সালের একটি স্যানিটেশন জরিপে দেখা যায় বাংলাদেশের প্রায় ৪২ ভাগ লোক উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগ করত ২০১৫ আন্তর্জাতিক জরিপে জেএমপি প্রতিবেদন দেখা যায় এখন বাংলাদেশে মাত্র ১ ভাগ লোক উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগ করে। জেএমপি প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ আছে বিশেষ ১৬টি দেশ যোগ্য হারে কমাতে পেরেছে। বাংলাদেশ অন্যতম। সার্কভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে স্যানিটেশন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। স্থানীয় সরকার বিভাগ এর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্থানীয়সরকার প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা ও দাতা সংস্থার সার্বিক সহযোগিতায় এ সাফল্য এসেছে। উন্মুক্তস্থানে মলত্যাগ বন্ধ করা এবং স্যানিটেশন সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন এনজিও সংস্থা এদেশে জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্যানিটেশন আন্দোলন গড়ে তোলে যা সিএলটিএস নামে সমধিক পরিচিত।
এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কিভাবে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ শূন্যে আনা যায়। বাংলাদেশ প্রতিদিন গড়ে ৭ লক্ষ লোক ট্রেনে বা লঞ্চে ভ্রমণ করে থাকেন। আমাদের দেশে ট্রেনে বা লঞ্চের যাত্রী সকালে যে মলমূত্র ত্যাগ করেন তা পানিতে বা উন্মুক্ত স্থানে মিশে যায়। উন্মুক্ত স্থানে ত্যাগ শূন্যের কোঠায় আনতে হলে অর্থ্যৎ শূন্যের দিকে যাত্রার জন্য প্রয়োজন ট্রেন বা লঞ্চে উন্নত ল্যাট্টিন প্রযুক্তি উদ্ভাবন, স্থাপন ও ব্যবহার নিশ্চিত করা। বাসষ্ট্যান্ড বা জন সমাগম স্থানে পাবলিক টয়লেট নির্মাণ এবং যথাযথ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ।
স্যানিটেশন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন অনেক, একথা সত্য কিন্তু ভবিষ্যত পরিকল্পনা যদি সঠিকভাবে না করা হয় তবে সকল অর্জন বিফলে যাবে। দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ ল্যাট্টিন সেপটিক ট্যাংক বা পিট নির্ভর। কিন্তু কয়েক বছর ব্যবহার করার পর ল্যাট্টিন সেপটিক ট্যাংক বা পিট ভরে যায়। প্রায় সকল ল্যাট্টিনের মনুষ্যবর্জ্য তুলে উন্মুক্ত স্থানে ফেলে দেয় অথবা সেপটিক ট্যাংক ড্রেনের সঙ্গে সংযোগ দেয় এর ফলে শূন্যের দিকে যাওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাবে। উন্মুক্তস্থানে মল ত্যাগ শূন্যের কোঠায় এবং নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হলে মনুষ্য বর্জ ব্যবস্থাপনার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।আমরা আশা করি, সকলের অংশগ্রহনের মাধ্যম শূন্যের অভিমুখে যাত্রা সফল হবে এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই ও উন্নয়ন লক্ষমাত্রা বাংলাদেশ অনেক আগেই অর্জন করতে পারবে।

 

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।