সোমবার, ৪ নভেম্বার, ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১

প্লাস্টিকের তৈজসপত্রে ভ্যাট প্রত্যাহার চায় বিপিজিএমইএ


Published: 2017-06-05 23:18:14 BdST, Updated: 2024-11-04 02:17:16 BdST

বিওয়াচ প্রতিবেদক: প্রস্তাবিত বাজেটে প্লাস্টিকের তৈরি তৈজসপত্র বা ক্রোকারিজ সামগ্রীর (থালা, বাসন, মগ, জগ, বালতি, ঝুড়ি ইত্যাদি) ওপর পাঁচ বছরের মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) প্রত্যাহার চেয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।

সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে সংগঠনটির অফিসে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের পক্ষে এ দাবি জানিয়েছেন বিপিজিএমইএ সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, প্লাস্টিক তৈজসপত্রের উৎপাদন, সরবরাহকারী ও ভোক্তাশ্রেণি সবই নিম্ন আয়ের অতিদরিদ্র ও অল্প শিক্ষিত জনগোষ্ঠী হওয়ায় ভ্যাটের হিসাব সংরক্ষণের জন্য ইসিআর (ECR) মেশিন ব্যবহারের যোগ্যতা বা দক্ষতা কোনটাই তাদের নেই। ইতোপূর্বে প্রধানমন্ত্রী নিম্ন আয়ের মানুষ, ক্ষুদ্র ও শ্রমঘণ শিল্পের পণ্য সংশ্লিষ্ট এইসএস (Hs) কোড ৩৯.২৪ সংশ্লিষ্ট প্লাস্টিক ক্রোকারিজ (তৈজসপত্র) আইটেমকে ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখার নির্দেশ দেন।

জসিম উদ্দিন দাবি করেন, চলতি সুবিধা অব্যাহত না থাকলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে, ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, ভ্যাটের কারণে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাবে। বিদেশি নিম্নমানের পণ্য দেশে সয়লাব হয়ে যাবে, দেশিশিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে।

চলতি হিসাবের বিষয়ে ব্যবসায়ী এ নেতা বলেন, ‘বর্তমানে ভ্যাট হিসাব রাখা হয় চলতি হিসাবের মাধ্যমে এবং এ হিসাব সব সময় এনবিআরের অনুকূলে জমা রাখতে হয়। বিক্রয়ের সময় এটি এডজাস্ট করা হয়। এ হিসাবে ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমাণ টাকা জমা আছে। তবে ১ জুলাই থেকে চলতি হিসাবে রক্ষিত টাকা এডজাস্টের সুযোগ না দিয়ে ১০ শতাংশ হারে এডজাস্টের প্রস্তাব হয়েছে। এর ফলে করদাতার বিপুল অংকের টাকা জমা থাকা সত্ত্বেও নতুন করে ভ্যাট দিতে হবে, যা ন্যায়নীতির পরিপন্থী। আমরা চলতি হিসাবে রক্ষিত টাকা সরাসরি এডজাস্টের প্রস্তাব করছি।’

এছাড়া বিপিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে রি-সাইক্লিং হওয়া সব খাতকে ভ্যাটমুক্ত রাখার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি। একই সঙ্গে প্লাস্টিক ও রাবারের হাওয়াই চপ্পল এবং প্লাস্টিকের পাদুকা ভ্যাট অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি পণ্য এবং সেবা খাতে নিয়োজিত ৮৫ শতাংশ ব্যবসায়ীর স্বার্থ ও সমর্থ অনুয়ায়ী ভোক্তা, ব্যবসা ও রাজস্ববান্ধব ভ্যাট, শুল্ক ও কর ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সাতটি প্রস্তাব পুনরায় বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।

এর মধ্যে চীন, তাইওয়ান ও ভিয়েতনাম যাতে বাংলাদেশের খেলনার বাজার দখল করতে না পারে সে জন্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা, রফতানির ওপর উৎসে কর না কাটা, প্লাস্টিক শিল্পে করপোরেট কর ১৫ শতাংশ করা এবং আবগারি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিপিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি মো. ইউসুফ আশরাফ, সাবেক সভাপতি এমএসএম কামাল উদ্দিন, সাবেক সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহেদ, সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম (হেলাল), বিপিজিএমইএ’র সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি মো. গোলাম কিবরিয়া, বিপিজিএমইএ উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ প্রমুখ।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।