শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্লু ও গ্রীন বন্ডকে উৎসাহিত করছি: বিএসইসি চেয়ারম্যান


Published: 2022-09-07 21:32:40 BdST, Updated: 2024-04-26 07:07:15 BdST


নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, আমরা ব্লু এবং গ্রীন বন্ডকে উৎসাহিত করছি। ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) আয়োজিত ‘সাউথ সাউথ এক্সচেঞ্জ: ইন্টারগ্রেটিং জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন ইন ক্লাইমেট বাজেটিং অ্যান্ড প্ল্যানিং প্রোসেসেস অ্যান্ড ইনোভেটিভ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স ইন দ্যা এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিয়ন’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ইউএনডিপির ক্লাইমেট ফাইনেন্স নেটওয়ার্ক এবং ইউএন ওমেনের উদ্যোগে সম্মেলনটি আয়োজনের সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকারের ‘নারী ক্ষমতায়ন ও শিশু সুরক্ষা মন্ত্রণালয়’ এবং ‘অর্থ মন্ত্রণালয়’। সম্মেলনে ইউএনডিপির আমন্ত্রণে বিএসইসির চেয়ারম্যান অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে ডেভেলপমেন্ট পার্টনার অর্গানইজেশন ও সিভিল সোসাইটি অর্গানইজেশনগুলোসহ এই অঞ্চলের ১০টি দেশ অংশগ্রহণ করে। ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ফিজি ও কম্বোডিয়া নিজ নিজ পরিপ্রেক্ষিত থেকে জলবায়ু ও লিঙ্গসমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজেটিং এবং জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে নিজস্ব সমন্বিত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তুলে ধরে। সম্মেলনে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়ন: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। দেশের বর্তমান জলবায়ু এবং বর্তমান বিশ্বমন্দা, জলবায়ু অর্থায়নের কার্যক্রম ইত্যাদি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকা ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সাথে সাথে ইউরোপ-আমেরিকাতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা থেকেই বোঝা যায় প্রকৃতি কতটা শক্তিশালী। মানবসৃষ্ট নানা কর্মকাণ্ড, জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যাধিক ব্যবহার, বন ধ্বংস, পানিসম্পদ বিনষ্টসহ নানাভাবে প্রকৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং প্রকৃতি এসব থেকে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সপ্তম মোস্ট ভালনারেবল দেশ এবং বাংলাদেশকে বলা যায় জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রাউন্ড জিরো। বন্যাপ্রবণ বাংলাদেশের দুই তৃতীয়াংশই সমুদ্রে পৃষ্ঠা থেকে মাত্র ১৫ ফুট উচ্চতায় রয়েছে। আমাদের দেশের প্রায় ৩ কোটি মানুষ গৃহহীন হয়েছেন অথবা হওয়ার শঙ্কায় আছেন। মাটির লবণাক্ততা এবং পানির অভাবসহ জলবায়ু পরিবর্তনের নানা প্রভাবে বাংলাদেশের কৃষি এবং অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তিনি বাংলাদেশের জলবায়ু সংশ্লিষ্ট পলিসিসমূহ যেমন ১৯৯৫ এর পরিবেশ রক্ষা আইন, ২০১০ এর জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইনসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহের অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। এছাড়াও তিনি বৈদেশিক এবং নিজস্ব অর্থ সহায়তায় সম্পাদিত কার্যক্রমগুলো এবং এর বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনাসমূহ ব্যাখ্যা করেন।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।