মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়নশীল দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে: রাষ্ট্রপতি


Published: 2021-11-05 05:50:16 BdST, Updated: 2024-04-23 15:41:46 BdST

বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক: উৎপাদনশীলতা বাড়াতে শ্রমিকের শ্রম ও দক্ষতাকে অপরিহার্য বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন,এ জন্য মালিক-শ্রমিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি, উদ্যোক্তাগণ শ্রমিকের কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হলে শিল্প খাতে নতুন সম্ভাবনা যেমন তৈরি হবে, তেমনি চ্যালেঞ্জও তৈরি হবে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনা ও প্রযুক্তিনির্ভর বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসতে উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৯ প্রদান উপলক্ষে পাঠানো ভিডিওবার্তায় এ আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন,বাংলাদেশ ২০২৬ সালে চূড়ান্তভাবে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে, ইনশাল্লাহ। তখন অন্যান্য সেক্টরের মতো শিল্প খাতের জন্য যেমন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে, আবার বেশকিছু চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে।এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকেই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শিল্পোদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনা ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে।’ বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক দর্শনে বাংলাদেশের শিল্পায়নের ধারা এগিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার বিগত এক যুগে বাংলাদেশে শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।’

উৎপাদনশীলতা বাড়াতে শ্রমিকের শ্রম ও দক্ষতাকে অপরিহার্য বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন,এ জন্য মালিক-শ্রমিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করি, উদ্যোক্তাগণ শ্রমিকের কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

সরকারের একার পক্ষে বিপুল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান করা সম্ভব নয় জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন,কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ।’ ১০০টি অর্থনৈতিক জোন গড়ে তোলার প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন,এর মাধ্যমে এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

ইকোনোমিক জোনের বড় অংশ বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ইকোনোমিক জোনে শিল্প স্থাপন করা হলে কর রেয়াতসহ প্রদেয় বিভিন্ন প্রণোদনা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীগণ সমভাবে ভোগ করবেন।’

রাষ্ট্রপতি জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সময়ে বিশ্বজুড়ে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। তাই দেশে উৎপাদিত শিল্পপণ্য আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যের তীব্র প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

তাই পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত করার পাশাপাশি উৎপাদনেও বৈচিত্র্য আনার আহ্বান জানান আবদুল হামিদ। বলেন,নির্দিষ্ট কোনো পণ্য বা সেবা খাতের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক গতিধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিল্পোৎপাদনে বহুমুখী ধ্যান-ধারণা প্রয়োগ করতে হবে।’ শিল্পায়নের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের ব্যাপারেও যতœশীল হতে উদ্যোক্তাদের সচেতন থাকার আহ্বান থাকার বিষয়ে সতর্ক করেন রাষ্ট্রপতি।

এবার শিল্প খাতে অসামান্য অবদান রাখায় ১৯ প্রতিষ্ঠান পেয়েছেন রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০১৯। এর মধ্যে বৃহৎ শিল্প ও মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে রয়েছে চারটি করে প্রতিষ্ঠান। তিনটি করে প্রতিষ্ঠান রয়েছে ক্ষুদ্র শিল্প, মাইক্রো শিল্প ও হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে। আর দুটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।