বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বৈশ্বিক মন্দায় ত্রিমুখী চাপে পোশাকশিল্প


Published: 2022-11-29 00:42:30 BdST, Updated: 2024-04-18 09:25:38 BdST

  • উৎপাদন কমে গেছে
  • বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকট
  • কাঁচামালের সংকট

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈশ্বিক মন্দায় ত্রিমুখী চাপে পড়েছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। এ খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, বৈশ্বিক মন্দার প্রভাবে একদিকে ক্রয়াদেশ কমে যাচ্ছে, অপরদিকে যতটুকু ক্রয়াদেশ পাওয়া যাচ্ছে—পোশাকের কাঁচামাল ও বিদ্যুতের অভাবে তাও উৎপাদন করতে পারছেন না তারা। গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিজেলের ওপর তাদের নির্ভরতা বেড়েছে। ফলে তাদের উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আর্থিক সংকটে পড়ে অনেক মালিকই শ্রমিকদের ঠিক সময়ে মজুরি দিতে পারছেন না। সার্বিক পরিস্থিতিতে বস্ত্র ও তৈরি পোশাকশিল্পের বহু কারখানা বন্ধ হচ্ছে। বন্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে অনেক কারখানা। এ অবস্থায় সৃষ্টি হতে পারে শ্রমিক অসন্তোষ। সংশ্লিষ্টরা জানান, রফতানি আয়ে বিপর্যয়ের আশঙ্কার পাশাপাশি এই খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমে যাচ্ছে। মূলত, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার হিসেবে ধরা হয় ইউরোপের দেশগুলো ও যুক্তরাষ্ট্রকে। করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। ওইসব দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ ছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য জিনিসপত্রের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে ওইসব দেশে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে। এদিকে বৈশ্বিক সংকটের কারণে ওয়ালমার্টসহ বিশ্বের অনেক দেশের নামিদামি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানও অর্ডার বাতিল করেছে।

উৎপাদন কমে গেছে : পোশাক খাতের শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমই’র তথ্য অনুযায়ী, টেক্সটাইল ও ডায়িং কারখানায় ৫০ শতাংশ এবং তৈরি পোশাকে ৩০ শতাংশ উৎপাদন কমে গেছে। ফলে সময় মতো শিপমেন্ট করা যাচ্ছে না। এ কারণে অনেক বিদেশি ক্রেতা ক্রয়াদেশ বাতিল করছেন। এরইমধ্যে অন্তত ৩০ শতাংশ ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। এছাড়া ১৫ শতাংশ স্থগিত করা হয়েছে। এতে কারখানায় জমে থাকা (স্টক লট) পোশাক বাড়ছে। নতুন ক্রয়াদেশও খুব বেশি আসছে না। দুই সংগঠনের তথ্য বলছে, বিদেশি ক্রেতাদের পণ্য পাঠানোর পরও প্রায় ৬০ শতাংশ কারখানা ঠিকমতো বিল পাচ্ছে না। অপরদিকে জ্বালানি সমস্যার কারণে উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও ক্রেতারা পোশাকের দাম বাড়াতে রাজি নয়। একাধিক কারখানা মালিক জানিয়েছেন, গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে অনেক ক্রেতা পণ্য ডেলিভারি স্থগিত করেছে। অক্টোবর ও চলতি নভেম্বরের অর্ডারেও একই অবস্থা। কোনও কোনও ক্রেতা এখনকার ক্রয়াদেশ আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে ডেলিভারি দেওয়ার জন্য বলছেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ডেলিভারি ছয় মাসও পিছিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির চাপে পোশাকের অর্ডার কমে গেছে।’ তিনি উল্লেখ করেন, তার নিজের প্রতিষ্ঠানে অর্ডার কমেছে ৩০ শতাংশের বেশি। এখন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটের কারণে কমে যাওয়া চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন করতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘ক্রয়াদেশের অভাবে তার নিজের কারখানার উৎপাদন সক্ষমতার মাত্র ৫০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারছেন।’ মোহাম্মদ হাতেম আরও বলেন, ৩৬ বছর ধরে তিনি গার্মেন্ট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত আছেন। এই ৩৬ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বড় সংকটে পড়েছে তৈরি পোশাক খাত। গত দুই মাসে তিনি ১৫ শতাংশ শ্রমিককে বাদ দিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, চলমান সংকটে গত দুই মাসে তার মতো অনেক কারখানা ৫ থেকে ১০ শতাংশ শ্রমিক ছাঁটাই করতে বাধ্য হয়েছে। আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় আল্পস অ্যাপারেলসে প্রায় এক হাজার কর্মী নিট পোশাক উৎপাদন করেন। গত দুই মাসে নতুন কোনও ক্রয়াদেশ আসেনি। ফলে আগামী ডিসেম্বরের পর কারখানাটিতে উৎপাদন চালানোর মতো কাজ নেই। এমনকি উৎপাদন সক্ষমতার চেয়ে ক্রয়াদেশ কম থাকায়—দুই মাস ধরে শ্রমিকদের ওভারটাইম বা অতিরিক্ত কাজও বন্ধ করে দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এখন কোনও শ্রমিক চাকরি ছেড়ে চলে গেলে তার কোনও স্থলাভিষিক্তও করা হচ্ছে না। নারায়ণগঞ্জ-ভিত্তিক নিট পোশাক কারখানা প্লামি ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক বলেন, একদিকে অর্ডার কমছে অপরদিকে ডিজেল ব্যবহার করতে বাধ্য হওয়ায় মাসে তার ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। তিনি বলেন, অন্যান্য কারখানা মালিকরাও একই কারণে তাদের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কথা তাকে জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নিটওয়্যার কারখানার মালিক জানান, কেবল ডিজেলের বাড়তি খরচের জন্যই প্রতি পিস টি-শার্টের উৎপাদন খরচ ০.৪০ ডলার বেড়ে যাচ্ছে। এই অবস্থা দীর্ঘমেয়াদে চলতে থাকলে কারখানাগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে, পরিণতিতে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে বলেও আশঙ্কা তার। প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় গ্যাসের সংকট বর্তমানে মারাত্মক। এছাড়া সাভার, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের কিছু এলাকায়ও গ্যাসের সরবরাহ কম। একই সমস্যা দেখা দিয়েছে চট্টগ্রামেও। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন—জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ৩৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ বাড়িয়েছেন ডিপো মালিকরা। এতে তাদের ব্যয় বেড়েছে। অথচ বাড়তি দাম পাচ্ছেন না। ফলে কারখানাগুলোকে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। চলতি নভেম্বর মাসেই ঢাকার ধামরাইয়ে মম ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ করে দেওয়ায় কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। মালিক পক্ষের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের কারখানা চালিয়ে রাখার মতো সক্ষমতা নেই। এ কারণে তারা কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানার কর্ণফুলী সেতু এলাকার নিউ চরচাক্তাই সড়কের ডিপস অ্যাপারেলস লিমিটেডের তৈরি পোশাক কারখানার দুটি ইউনিট হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে মহাবিপাকে পড়েছেন ছয় শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী। মালিক পক্ষ বলছে, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে মন্দার প্রভাবে কারখানা দুটি বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। কারণ, গত কয়েক মাস ধরে কারখানা দুটিতে বিদেশি ক্রেতাদের পক্ষ থেকে তৈরি পোশাকের কোনও অর্ডার আসছিল না। কয়েকজন কারখানার মালিক দাবি করেছেন, দেশের বেশিরভাগ কারখানায় সংকট থাকলেও দেশের ব্যাংকগুলো থেকে কোনও সহযোগিতা মিলছে না। এমনকি সরকারি তরফেও কোনও সহযোগিতার আশ্বাস নেই। ফলে বাধ্য হয়েই অনেক মালিক ইতোমধ্যে শ্রমিক ছাঁটাই শুরু করেছেন। গড়ে কারখানায় ৫ থেকে ১০ শতাংশ শ্রমিক ছাঁটাই হচ্ছে। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র সদস্য নন—এমন কারখানার অবস্থা আরও বেশি খারাপ। এ প্রসঙ্গে সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন, ‘পোশাকের অর্ডার কমে যাওয়ায় ভেতরে ভেতরে অধিকাংশ কারখানার মালিক শ্রমিকদের ছাঁটাই করছেন। আগের মতো ওভারটাইম করতে পারছেন না শ্রমিকরা। আবার অনেকে চাকরিতে থেকেও পরিবারকে সামাল দিতে পারছেন না—জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে।’ এ প্রসঙ্গে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট-পিআরআই’র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আগামী ফেব্রুয়ারি ও মার্চের আগ পর্যন্ত পোশাক রফতানির উন্নতি হওয়ার সুযোগ নেই। ততদিন হয়তো এই পরিস্থিতি চলতে পারে। তবে মাস ছয়েক পর রফতানির অর্ডার হয়তো বাড়তেও পারে।’ এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত জুলাই থেকে পোশাকের অর্ডার ও দাম কমতে শুরু করেছে। এছাড়া ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট। বাড়তি দামেও আমরা বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে জেনারেটর দিয়ে কারখানা চালাচ্ছি। ফলে উৎপাদন খরচ দিন দিন বাড়ছে।’ তিনি বলেন, ‘দাম কমিয়েও তৈরি পোশাকের ক্রেতা পাচ্ছেন না শিল্প মালিকরা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বিশ্বমন্দার কারণে এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ ইউরোপের বড় বড় ক্রেতারা পোশাক নিতে চাচ্ছেন না।’

১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকে না : গার্মেন্ট শিল্পে প্রতিদিন গড়ে ১২ ঘণ্টা গ্যাস না থাকার কথা জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা। তারা বলেছেন, যেটুকু সময় গ্যাস থাকে, তাতে চাপজনিত সংকটে মিলগুলো উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র ৩০-৪০ শতাংশ ব্যবহার করতে পারছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন- বিটিএমএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করা গেলেও দেশের চলমান জ্বালানি সংকট এ খাতকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বিশেষ করে দেশে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দেওয়ায় আমাদের টেক্সটাইল মিলগুলো দীর্ঘদিন ধরে কার্যত বন্ধ রয়েছে।’ গত ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারকে দেওয়া এক চিঠিতে মোহাম্মদ আলী খোকন বলেছেন, ক্রমাগত গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকটের কারণে মিলগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমানে ৪০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। অপরদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলার উচ্চমূল্য, তীব্র ডলার সংকট, তৈরি সুতা ও কাপড়ের রফতানি আদেশ কমে যাওয়া এবং রফতানি বিল না পাওয়ায় তুলাসহ অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি করার সংকট সৃষ্টি হয়েছে। চিঠিতে ডলার সংকটের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে—ডলার সংকটে এলসি খুলতে সমস্যা হওয়ায় গার্মেন্ট পণ্য তৈরির কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। সাধারণত, টেক্সটাইল মিলগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন এবং রফতানি কার্যক্রমের জন্য কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ মাসের কাঁচামাল মজুত থাকতে হয়। কিন্তু আমদানি বিঘ্নিত হওয়ায় কাঁচামালের মজুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যমান ডলার সংকটের কারণে রফতানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) ও ইউসেন্স পেঅ্যাবল এট সাইটের (ইউপিএএস) অধীনে বাণিজ্যিক ব্যাংকে কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি খুলতে পারছে না গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কাঁচামাল আমদানির জন্য এলসি না খুললে অনেক স্পিনিং মিলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়। চিঠিতে আরও বলা হয়—উৎপাদন কমে গেলে বিদ্যমান ডলার সংকট আরও বাড়বে। কেননা, এটি রফতানি আয়কেও প্রভাবিত করবে। এছাড়া অনেকে চাকরি হারাবেন। বেকারত্বও বেড়ে যাবে।

উল্টো পথে বাংলাদেশ ব্যাংক : গার্মেন্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্যাস সংকটে যেখানে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, ঠিক এমন সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবসায়ীদের চাপে রেখেছে। এ প্রসঙ্গে বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘প্রথমত উৎপাদন আগের চেয়ে কমে গেছে। দ্বিতীয়ত, যা উৎপাদন হচ্ছে—তাও ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। শিপমেন্টের জন্য পণ্য রেডি, কিন্তু শিপমেন্ট হচ্ছে না। আবার যেসব পণ্য যাচ্ছে, কিন্তু ক্রেতারা সময় মতো পেমেন্ট করছে না। পণ্য পাওয়ার পরই পেমেন্ট করার কথা থাকলেও তারা পেমেন্ট করছে ১৮০ দিন পরে। অথচ ব্যাংক থেকে প্রতিদিন চাপ দেওয়া হচ্ছে পেমেন্ট দেওয়ার জন্য। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সহায়তা করার পরিবর্তে তাদের চাপে রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২৬ অক্টোবর নতুন একটি সার্কুলার জারি করেছে। সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, সময়মতো এলসির দায় পরিশোধ না হলে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেনকারী (এডি) শাখার লাইসেন্স বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ কারণে ব্যাংকগুলো এলসি খোলা বন্ধ করে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এলসি যদি না খোলা হয়, তাহলে কারখানা খোলা রেখে কী লাভ। গত এক বছরে কমপক্ষে শতাধিক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।’ ব্যাংকগুলো এলসি না খোলায় বেশিরভাগ কারখানা বন্ধের ঝুঁকিতে আছে বলেও জানান তিনি। মোহাম্মদ হাতেম আরও বলেন, ‘আমরা যখন সংকটের মধ্যে আবর্তিত, তখন বাংলাদেশ ব্যাংকও আমাদেরকেই চাপ দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন সিদ্ধান্ত আমাদের বিস্মিত করেছে।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।