শনিবার, ৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ


Published: 2023-08-05 17:35:41 BdST, Updated: 2024-05-04 01:28:26 BdST


নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থান ধরে রাখার পাশাপাশি বাজার হিস্যা ১ দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়েছে। এমনকি ভিয়েতনামের চেয়েও বেশ এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ‘ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ ২০২৩’ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর অর্থাত্ ২০২২ সালে ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানির ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এর আগের বছর এই বাজার হিস্যা ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে ভিয়েতনাম গত বছর ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। তাদের বাজার হিস্যা ৬ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২১ সালে দেশটির বাজার হিস্যা ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। ঐ বছর ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩০০ কোটি ডলার বেশি ছিল। গত বছর সেটি বেড়ে ১ হাজার কোটি ডলার হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরাবরের মতো বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ স্থানে রয়েছে চীন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে সম্মিলিতভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউভুক্ত দেশগুলো ১৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। যদিও একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক। আর তৃতীয় ভিয়েতনাম। চীন, ইইউ, বাংলাদেশ, ভিয়েতনামসহ শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক দেশ গত বছর ৪৯ হাজার ২০০ কোটি বা ৪৯২ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। অন্যদিকে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, কোরিয়া, রাশিয়াসহ শীর্ষ ১০ আমদানিকারক দেশ ৪৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে।

ডব্লিউটিওর তথ্যানুযায়ী, চীন গত বছর ১৮ হাজার ২০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এর আগের বছর তাদের রপ্তানি ছিল ১৭ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। সেই হিসাবে গত বছর দেশটির রপ্তানি ৬০০ কোটি ডলার বেড়েছে। কিন্তু তাদের হিস্যা ১ দশমিক ১ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। তার কারণ, গত বছর শীর্ষ ১০ দেশের রপ্তানি ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার বেড়েছে। সেই হিসেবে চীনের রপ্তানি বৃদ্ধির হার তুলনামূলক কম। বিশ্বে তৃতীয় ও চতুর্থ শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হচ্ছে তুরস্ক ও ভারত। তাদের মধ্যে তুরস্ক গত বছর ২ হাজার কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। দেশটির হিস্যা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে ভারত রপ্তানি করেছে ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক। তাদের বাজার হিস্যা ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক বাজারে হিস্যা বৃদ্ধি আমাদের তৈরি পোশাকশিল্পের শক্তিমত্তার পরিচয়। করোনার ধাক্কা কাটিয়ে পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব বাণিজ্য নিয়ে অস্থিরতা, বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব বিশ্বের অনেক দেশকে ভাবিয়ে তুলছে। এবছর বিশ্ব বাণিজ্যের আকার আগের বছরের চেয়ে কমে আসবে এমনটাও আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিদায়ি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয় ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ৩৯৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের জুলাই থেকে সাড়ে ১৭ শতাংশ বেশি।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।