মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

এফবিসিসিআই নির্বাচনকৃষি ও এসএমই খাতের উন্নয়নে জোড়ালো ভুমিকা পালন করতে চান ইসহাকুল হোসেন সুইট


Published: 2023-07-20 17:56:23 BdST, Updated: 2024-04-30 04:14:33 BdST


নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের বর্তমান শ্রমশক্তির ৪০.৬ শতাংশ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। দেশের জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৩.৩১ শতাংশ। কৃষির উন্নতি মানে দেশের উন্নতি। কৃষি আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। এজন্য কৃষি ও এসএমই খাতের উন্নয়নে জোড়ালো ভুমিকা পালন করতে চান মোহা. ইসহাকুল হোসেন সুইট। তিনি এবারের ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এ্ফবিসিসিআই) আসন্ন নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ি পরিষদ থেকে পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এর আগে তিনি ২০১৭-১৯ সালের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিলেন কিন্তু সেবার অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন। তার পর এফবিসিসিআইতে পরপর দুটি টার্মে কোন নির্বাচন না হওয়ায় তিনি আর অংশগ্রহণ করতে পারেন নি। তবে এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি আশা করছেন এফবিসিসিআই’র সম্মানিত ভোটাররা তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে কৃষিপণ্যের বহুমুখীকরণ ও বাজার সম্প্রসারণ এবং এসএমই খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় নীতি প্রণয়নে জোড়ালো ভুমিকা রাখার সুযোগ করে দিবেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে কৃষিজমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে, জনসংখ্যা বাড়ছে, সে জন্য কৃষির উন্নয়নে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। কৃষির উন্নয়নে নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার, গুণগত মানসম্পন্ন ফসলের বীজ উৎপাদন, সারের মূল্য হ্রাস, সুষম সার প্রয়োগ করার সুযোগ সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া দরকার। বেসরকারি কোম্পানিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে বেসরকারি খাতে দেশে মানসম্পন্ন সবজি বীজ উৎপাদন করে বীজের জোগান বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
এছাড়া কৃষি যান্ত্রিকীকরণ আরও গতিশীল করা দরকার। বেসরকারি খাত ছাড়া এটি করা সম্ভব নয়। এজন্য ব্যবসা সহায়ক নীতি দরকার। সমবায় ভিত্তিতে অঞ্চলভিত্তিক সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে এলাকা উপযোগী ফসলের জাত উন্নয়ন, সম্ভাবনাময় কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, সেচ অবকাঠামো নির্মাণের দ্বারা সেচের আওতা বৃদ্ধি করতে হবে। পাশাপাশি মৎস্য গবেষণার মাধ্যমে দেশে মাছের নতুন জাত উদ্ভাবন, এসব জাতের পোনা ব্যবহার করে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যাবে। এছাড়া গবাদিপশু এবং হাঁস-মুরগি পালনের নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উৎপাদিত কৃষি উন্নয়নের নতুন নতুন পদ্ধতি সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে কৃষির উন্নয়ন করা সম্ভব। পতিত জমি কাজে লাগানো, এক জমিতে বছরে চার ফসল উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে পারলে কৃষিবিপ্লব হবে।
উল্লেখ্য, সিলেটের কৃতি সন্তান ইসহাকুল হোসেন সুইট ৯০ দশক প্রগতিশিল ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেন। ছাত্র জীবন থেকেই বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ বাস্তবায়নে শতভাগ স্থানীয় পণ্যের ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বহু মানুষের কর্মস্থান করেন। বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর দেশ হওয়ায় তিনি শুরু থেকে কৃষি প্রক্রিয়াজ খাদ্যপণ্য রপ্তানির সাথে নিজেকে যুক্ত করেন। এছাড়া আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় কৃষিকে শিল্পে রুপ দিতে বিশেষ ভুমিকা পালন করছেন। কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি বাণিজ্য ও দেশের ক্রমবর্ধমান শিল্পখাতের বিকাশে অবদান রাখার জন্য ২০২০ সালে শিল্প মন্ত্রণালয় তাকে ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি এন্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড দেন।


ইসহাকুল হোসেন সুইট বাংলাদেশ রাইস এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে এ সংগঠনের সহসভাতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি দেশের অন্যতম প্রাচীণ শিল্প আগর উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত। বিশ্ব বাজারে আগর শিল্পের বিকাশে বড় ভুমিকা পালন করছেন। এখাতের একজন সফল রপ্তানিকারক তিনি। আগর রপ্তানির মাধ্যমে শতভাগ বৈদিশ মুদ্রা অর্জন করা যায়। তিনি জানান অন্যান্য পণ্য রপ্তানির করতে কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। কিন্তু কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য রপ্তানি করতে কোন কাঁচামাল আমদানি করতে হয় না। যা রপ্তানি হয় তার সবটাই বৈদেশিক মুদ্রায় ফেরত আসে। যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই তিনি মনে করেন, এদেশে কৃষির সম্প্রসারণ ও ইলিশ মাছ থেকে বহুমূখী পণ্য উৎপাদন করে শত ভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। এছাড়া দেশের কৃষি ও মানুষকে বাঁচাতে এদেশের করপোরেটের পাশাপাশি এসএমই খাতকে কিভাবে সম্প্রসারণ করা যায় তা নিয়ে কাজ করছেন তিনি। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নে পালন করার জন্য ব্যবসায়িদের পার্লামেন্ট খ্যাত এফবিসিসিআই’র পরিচালক পদে সবার ভোট ও দোয়া প্রত্যাশা করেন তিনি

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।