শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিতে ভূমিকা রাখছে বস্ত্রখাত


Published: 2019-12-05 06:20:14 BdST, Updated: 2024-04-20 02:57:12 BdST

বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক:বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীকএমপি বলেছেন, বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিতে যেতে বস্ত্রখাত প্রধান রপ্তানী খাত হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আজ বুধবার ৪ ডিসেম্বর সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন, টেকসই উন্নয়ন, এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশে প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে দিবসটি। জাতীয় বস্ত্র দিবস উপলক্ষে সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে আয়োজিত এই বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়। মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এই র‌্যালির নেতৃত্ব দেন। র‌্যালিটি সকাল ৯ টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে শুরু হয়ে খামারবাড়ী মোড় ঘুরে আবার মানিক মিয়া এভিনিউতে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালির শুরুতে শান্তির প্রতীক কবুতর ও বেলুন ওড়ানো হয়। নানা ধরনের ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে বস্ত্রখাতের অংশীজনেরা অংশগ্রহণ করেন। 

অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বাংলাদেশের বস্ত্রখাত সমগ্র বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বস্ত্রখাতের অবস্থান বিশ্বে দ্বিতীয়। আগামীতে এই খাত যেন বিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করতে পারে সেজন্য সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। বর্তমান সরকার ভিষণ-২০২১, অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় বস্ত্রখাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লি সকলের করনীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দি করে বস্ত্রনীতি-২০১৭ এবং বস্ত্র আইন-২০১৮ প্রণয়ন করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, রানা প্লাাজা ধসের পর বস্ত্রখাতের যে ক্ষতি হয়েছিল বর্তমানে তা কাটিয়ে উঠে এই খাত নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে । এখন অধিকাংশ কোম্পানি শতভাগ কমপ্লায়েন্স পরিপালন করছে। তৈরি পোষাক শিল্পে উন্নতমানের সবুজ কারখানা (গ্রিনফ্যাক্টরি) নির্মানে বিশ্বের প্রথম ১০টি উন্নত মানের কারখানার ৭টিরই অবস্থান বাংলাদেশ ।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, আমাদের বস্ত্রখাত আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে এগিয়ে চলছে। বিশ্বের যে কোনো উন্নত দেশের সাথে বাংলাদেশের বস্ত্রখাত প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এটি ধরে রাখতে হলে বস্ত্রখাতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্রময় পণ্যের (ডাইভারসিফাই প্রোডাক্ট) উৎপাদন বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের হাই ভ্যালু প্রোডাক্ট তৈরি করে এই খাতকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। এটি করা গেলে দেশের বস্ত্রখাত দ্রুতসময়ের মধ্যে সারাবিশ্বের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযাযী ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে প্রবেশ করতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে বস্ত্র ও পাটখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করেছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশে পরিনত হবে। আর এই ক্ষেত্রে আমাদের বস্ত্র খাত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে।  ৪ ডিসেম্বও এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে জাতীয় বস্ত্র দিবস পালন করা হচ্ছে। এছাড়াও ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্যোগ  নেয়া হয়েছে।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন  করবেন। অনুষ্ঠানে বস্ত্র দিবসের গুরুত্ব এবং বস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ সৃরি লক্ষ্যে  বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ব্যক্তি ও প্রতিানকে পুরস্কার প্রদান করা হবে ।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।