হালকা যন্ত্রপাতি উৎপাদনে প্রণোদনা দেয়া হবে: -শিল্প প্রতিমন্ত্রী
Published: 2019-11-14 17:43:08 BdST, Updated: 2024-10-12 16:07:29 BdST
বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক: দেশে উৎপাদিত কৃষিযন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য হালকা যন্ত্রপাতি উৎপাদনে প্রণোদনা প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। প্রতিমন্ত্রী আজ ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ওয়ারীতে টুল এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, বিটাকের মাধ্যমে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে সহায়তা প্রদান বিষয়ক সেমিনার ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাহউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আইএটি বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আরিফ হাসান মামুন ও বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আবদুর রাজ্জাক। বিটাকের মহাপরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমান সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিটাকের টুল এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক ড. সৈয়দ মোঃ ইহসানুল করিম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হালকা প্রকৌশল শিল্পখাতের স্বার্থে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে হালকা এ ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এক জায়গায় স্থানান্তরিত করা হবে। এতে তাদের বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান সহজতর ও দ্রুততর হবে। প্রতিমন্ত্রী শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল শিল্পনগরী ও পার্কে পরিষেবা ও অবকাঠামো সংক্রান্ত সকল কাজ শতভাগ সম্পন্ন করার পর প্লট বরাদ্দের নির্দেশ প্রদান করে বলেন, মন্ত্রণালয়ে যেকোন ডেস্কে ৩০ মিনিট এবং মাঠ পর্যায়ে সাত দিনের মধ্যে ফাইল নিষ্পত্তি করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী এ সময় পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, আগামী প্রজন্মের কথাও আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ড. ইহসানুল করিম বলেন, শিল্পখাতের সম্প্রসারনের সাথে বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশের চাহিদাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে বিশ্বে হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতির প্রায় ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজার রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বিশাল বাজারে একটি শক্তিশালী অবস্থান যাবার সক্ষমতা অর্জনে সারাদেশের হালকা প্রকৌশল শিল্পসমূহকে বিটাক উচ্চ প্রযুক্তির ও মানসম্পন্ন সহায়তা প্রদান করবে। টুল এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটে হিট ট্রিটমেন্ট, সিএনসি, ফিজিক্যাল ভ্যাপার কোটিং মেশিন, কোঅর্ডিনেট মেজারিং মেশিন ইত্যাদি সেবা কমন ফ্যাসিলিটি আকারে সকল হালকা প্রকৌশল শিল্প প্রতিষ্ঠানকে প্রদান করা হবে।
বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমানে সারাদেশে ৫০ হাজার হালকা প্রকৌশল শিল্প রয়েছে। তিনি বিশ্ববাজারে বাংলাদেশে তৈরি মানসম্পন্ন হাল্কা প্রকৌশল পণ্য পৌঁছে দিতে পুঁজি, প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা ও নীতিগত বিষয়ে সরকারের সহায়তা কামনা করেন। বুয়েটের অধ্যাপক ড. মামুন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে গবেষণা খাতে বিনিয়োগ করার জন্য শিল্পকারখানার মালিকদের প্রতি আহবান জানান।
বিটাকের মহাপরিচালক বলেন, সমগ্র শিল্পখাতে হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি শিল্পের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে একে মাদার অব অল ইন্ডাস্ট্রি বলা হয়ে থাকে। তিনি উৎপাদন কমে যাবার আশংকায় বিটাকের প্রশিক্ষণে শ্রমিক, কারিগরদের প্রেরণ না-করার সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।
সেমিনারে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন হালকা প্রকৌশল শিল্পোদ্যোক্তা আশরাফ ইবনে নূর। সেমিনারে বিটাকের সাথে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। টুল এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক ড. সৈয়দ মোঃ ইহসানুল করিম ও বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আবদুর রাজ্জাক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। এর আগে, শিল্প প্রতিমন্ত্রী সেমিনার উপলক্ষে আয়োজিত হালকা প্রকৌশল শিল্পের একটি প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।