শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৩ ট্যুরিজম পার্কে বেসরকারি বিনিয়োগ চায় সরকার


Published: 2018-02-01 21:15:06 BdST, Updated: 2024-04-19 03:30:53 BdST

বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক: কক্সবাজার জেলায় তিনটি ট্যুরিজম পার্ক নাফ ও সাবরং এবং সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্কের উন্নয়ন কাজ আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ায়র পাশাপাশি বিনিয়োগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। তখন এসব পার্ক পর্যটকদের জন্য উপযুক্ত করতে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।

বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের স্থানীয় একটি হোটেলে ‘বিনিয়োগ সুযোগ উদঘাটন : কক্সবাজারে বিশেষায়িত ট্যুরিজম পার্ক’ শীর্ষক সেমিনারে বেজা ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন এবং বেজার সদস্য মো. হারুনুর রশিদ বক্তব্য রাখেন।

পবন চৌধুরী বলেন, নাফ ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক এবং সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্কের উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ হবে।এসব পার্ক পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করতে বেসরকারি বিনিয়োগ দরকার। বিদ্যমান বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ নিয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

তিনি জানান, নাফ ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনে উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনে সুপার ডাইক নির্মাণের জন্য চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেডকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করার জন্য সমীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে।

পবন চৌধুরী বলেন, ৩টি ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের ফলে আগামী ৫ বছরে ২ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে এবং এ খাত হতে বছরে অতিরিক্ত ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সুযোগ সৃষ্টি হবে।এই তিন ট্যুরিজম পার্ক বাস্তবায়ন সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের ট্যুরিজম শিল্পের ব্যপক পরিবর্তন সূচিত হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, বেজা আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৪০ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বেজা ইতোমধ্যে ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স এবং মধ্যে ৫টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে চূড়ান্ত লাইসেন্স প্রদান করেছে।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।