বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনার উন্নয়নে সহায়তা দেবে ভারত


Published: 2017-03-09 06:34:33 BdST, Updated: 2024-04-18 22:22:15 BdST

 বিওয়াচ ডেক্স: ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক সহায়তায় খুলনা শহরের টেকসই উন্নয়নে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

বুধবার অর্থ মন্ত্রনালয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে ত্রিপক্ষীয় এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ও অর্থ মন্ত্রকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ঊর্ধ্বতন সচিব কাজী শফিকুল আজম, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. মনিরুজ্জামান মনি।

অনুষ্ঠানে ঢাকার ভারতীয় হাই কমিশন, অর্থ মন্ত্রণালয় ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপন্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প’ কর্মসূচির আওতায় ভারত সরকারের অর্থায়নে এ প্রকল্পের মোট খরচ ১২ কোটি ৮ লাখ টাকা। স্কুল ভবন নির্মাণ ছাড়াও প্রকল্পের মধ্যে স্কুলের জন্য যাবতীয় আসবাবপত্র, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ফটোকপি মেশিন, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও একটি ৩৩ আসনের স্কুল বাস অন্তর্ভুক্ত।

অনুষ্ঠানে বলা হয়, এই সমঝোতা স্মারক ও খুলনা-কলকাতা রেল সংযোগ যা শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে, খুলনার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ট বন্ধনের কথা পুনরায় স্মরণ করিয়ে দেবে।

খুলনার সাথে ভারতের সংযোগ তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশের এই শহরটি শুধু কোলকাতার সন্নিকটেই অবন্থিত নয়, তৎকালীন বাংলার পশ্চিমাংশের সাথে শহরটির  যে ঘনিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক বন্ধন ছিল তার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর, বাংলাদেশটি স্বাধীনতা লাভের একদিন পর, মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় খুলনা স্বাধীন হয়েছিল। খুলনার সঙ্গে ভারতীয় সংবিধানের রূপকার ড. বি. আর. আম্বেদকার-এর বিশেষ যোগাযোগ ছিল কেননা দেশভাগের আগে ১৯৪৬ সালে সংসদে তিনি যে নির্বাচনী একলাকাসমূহের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন সেগুলির মধ্যে ছিল খুলনা, যশোর, বরিশাল ও ফরিদপুর। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেন খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

এর আগে ভারত সরকারের অর্থয়নে বাংলাদেশের রাজশাহী ও সিলেট নগরীর উন্নয়নে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।