শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ০.৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে চায় এফবিসিসিআই


Published: 2023-04-13 21:26:31 BdST, Updated: 2024-04-19 20:17:05 BdST


নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, বর্তমানে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সরবরাহের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদানের বিধান রয়েছে। যা ব্যবসার খরচ বহনের ক্ষেত্রে বোঝা হয়ে যায়। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট কমিয়ে ০.৫ শতাংশে নিয়ে আসার প্রস্তাব করেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোডের পরামর্শক কমিটির ৪৩তম সভায় এ প্রস্তাব করেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মে. রহমাতুল মুনিম।

অনুষ্ঠানে মূসক সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, পণ্য এবং সেবাখাতে মূল্য সংযোজনভিত্তিক একক ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরােপ করা হলে খাত নির্বিশেষে সব পণ্য এবং সেবাখাত অসম কর হার এবং জটিলতা থেকে রেহাই পাবে। কর ব্যবস্থাপনাও সহজ হবে। ইনপুট ভ্যাট সমন্বয় করতে না পারলে সব প্রক্রিয়াজাত পণ্যে এবং সেবার লেনদেন মূল্যের উপর এই আদেশ দ্বারা নির্ধারিত হারে মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ মূসক বহাল করার কথা বলেন। রিয়েল এস্টেট, লোহা ও ইস্পাত খাতসহ তালিকাভুক্ত খাতের জন্য নির্দিষ্ট ট্যারিফভিত্তিক মূসক (ইনপুট ভ্যাট সমন্বয় না করে) বহাল করার প্রস্তাব করেন।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, উৎপাদন খাতের কোনো প্রতিষ্ঠান (১ম পক্ষ) অন্য কোনো উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (২য় পক্ষ) এর সাথে চুক্তির ভিত্তিতে উপকরণ ক্রয় করলে চুক্তিবদ্ধ ২য় পক্ষ থেকে ১ম পক্ষের নিকট উপকরণ সরবরাহের জন্য মূসক প্রযোজ্য হবে না মর্মে বিধান করার প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে আমদানিকৃত উপকরণের ক্ষত্রে ৩ শতাংশ আগাম কর ধাপে ধাপে রহিত করার প্রস্তাব করছি। কারণ এর ফলে শিল্প উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়।

তিনি বলেন, বর্তমানে কোম্পানিসমূহের আয়কর হার-এর শর্তে উল্লেখ আছে, সকল প্রকার আয় ও প্রাপ্তি এবং প্রত্যেক একক লেনদেন পাঁচ লাখ টাকার অধিক ও বার্ষিক সর্বমোট ছত্রিশ লাখ টাকার অধিক সকল প্রকার ব্যয় ও বিনিয়ােগ ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হব। উপরিউক্ত শর্ত সব কোম্পানির জন্য সমভাবে আরােপ না করে শিল্পভিত্তিক ব্যয়ের অনুপাতের ভিত্তিতে আরোপ করার প্রস্তাব করছি। এ সীমাটি প্রথম বছর ২০ শতাংশ, পরবর্তী বছর ১০ শতাংশ, পরবর্তী বছর ৫ শতাংশ, এবং তার পরবর্তী বছর ০ শতাংশ হারে নির্ধারণ করা হলে বাস্তবায়ন সহজ হবে।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।