বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষিতে ষান্ত্রিকীকরণ করতেই হবে: কৃষিমন্ত্রী


Published: 2019-11-29 04:53:15 BdST, Updated: 2024-04-25 16:49:22 BdST


বিজনেস ওয়াচ প্রতিবেদক:
উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষিতে ষান্ত্রিকীকরণ করতেই হবে। কৃষিকে লাভজনক করতে হলে শুধু ধান চাষ করলেই হবে না। লাভজনক কৃষি পন্য উৎপাদন করে প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানির মাধ্যমে কৃষকদের লাভবান করতে হবে। গ্রামে বসবাসরত কৃষকরা লাভবান হলে তারা নিজ পরিবারের জন্য পুষ্টিমান সম্পন্ন খাদ্য সংগ্রহ করতে পারবে। মানুষ এখন আর ওএমএসএর মোটা চাল খেতে চায় না, যার প্রভাব বাজারে চিকন চালের মুল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে কৃষক ধানের মুল্য না পাওয়ায় দির্ঘদিন মিডিয়ায় অলোচনা হয়েছে। মুল্য কম হলেও সমালোচনা হয়। কৃষিজাত পণ্যের মুল্য নিয়ে সবাইকে ভাবতে হবে। কৃষিমন্ত্রী ড.মো: আব্দুর রাজ্জাক আজ ২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার গাজীপুর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর অডিটরিয়ামে বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০১৮-২০১৯ এ তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিগত এক বছরে আমরা কি করেছি তার জবাবদিহিতা আমাকেও করতে হবে। দেশে খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন বারি'র কৃষি বিজ্ঞানীদের পরিশ্রমের ফসল। এছাড়া দেশের দারিদ্র হ্রাসেও তাদের সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রয়েছে। আমাদের বিদ্যমান প্রযুক্তিগুলে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া কোন ফসলে কৃষক লাভবান হবে তা কৃষকের কাছে পৌছাতে হবে।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, যে দেশের মাটিতে মরুভুমির খেজুর হয়,ড্রাগন ফল,অ্যাবোকাডো,কাজু বাদাম, কফি হয় সে দেশের কৃষির সম্ভাবনা অপার । বারি'র অর্জন থেকে কৃষক কি ভাবে লাভবান হবে তার জন্য কাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য,ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট(ব্রি) ২০০৯ সাল পর্যন্ত ধানের জাত উদ্বাবন করেছেন ৫০ টি,বিগত ১১ বছরে ৪৯ টি ধানের নতুনজাত উদ্বাবন করেছে। যার মধ্যে বিগত এক বছরে ৮টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এছাড়া বিরি দেশের খাদ্য চাহিদার ৯১ শতাংশ পুরন করে নতুন নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে। টেকসই খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রণীত জরপব ঠরংরড়হ ২০৫০ অভিষ্ট পুরণে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ২০১০ -২০১৯ পর্যন্ত ৬ লাখ টন হারে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে, বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (গবষণা) কমলা রঞ্জন দাস, এমিরেটাস প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার মন্ডল, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.মোঃ আব্দুল মুঈদ ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. কবীর ইকরামুল হক। গবেষণা পর্যালোচনা উপস্থাপন করেন ড.তমাল লতা আদিত্ব-পরিচালক(গবেষণা) ব্রি।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।